বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের আন্দোলন তৃতীয় দিনের মতো চলছে

0
122
চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের দাবি, চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্যের দপ্তরের সামনে

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি আজ তৃতীয় দিনের মতো চলছে। অন্যান্য দিনের মতো আজ রোববার সকাল থেকে উপাচার্যের দপ্তরের সামনের লবির মেঝেতে বসে আছেন তাঁরা।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলছেন, তাঁদের চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চাকরি বা নিয়োগের ব্যাপারে তাদের কোনো হাত নেই। এ ছাড়া একসঙ্গে এত পদ সৃষ্টি হয় না। বিগত তিন নিয়োগে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ১৫৪ জনের মধ্যে ১৮ জনকে চাকরি দিয়েছেন রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা।

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, উপাচার্যের দপ্তরের সামনের মেঝেতে বসে আছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা। অনেকের হাতে ‘চাকরি স্থায়ীকরণ করা হোক’ লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড।

আন্দোলনরত দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী রিক্তা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নেই, পাঁচটি সন্তান নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ছয় বছর এখানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে আছি, শুধুই আশ্বাস শুনে আসছি।’ চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী নাজিমুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই আশা নিয়েই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছি। এবার আমাদের চাকরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তা না হলে আমরা এখান থেকে উঠব না।’

এর আগে গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরের সামনের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কর্মসূচি শুরু করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব, কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন ও রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সদস্যরা ফটক ভেঙে উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের মুক্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমানের কার্যালয়ে একাধিক গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আর উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুবকে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.