বইয়ের মানে ছাড় দিচ্ছে না এনসিটিবি, বিতরণের সময় নিয়ে শঙ্কা

0
8
বই বিতরণ

প্রাথমিকের সব বই আজ রোববারের (৫ জানুয়ারি) মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা পূরণ করতে পারেনি সরকার। তাছাড়া ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শ্রেণির বই বিতরণ সম্ভব হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, বই মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আগের মতো নিম্ন মানের বই ছাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই বই বিতরণ বিলম্ব হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নানা অজুহাত দেখিয়ে এনসিটিবির কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরীর কাছে বই মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা আরও কিছু সময় চান। তবে তিনি বাড়তি সময় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বই সরবরাহের কথা বলেন।

অধিকাংশ কারখানাতেই বই ছাপানোর তোড়জোড় চলছে। তবে কিছু কারখানাতে ২৪ ঘণ্টা ছাপানোর কাজ চলছে না। আবার শ্রমিক সংকটের অযুহাতেও বন্ধ রয়েছে একাধিক কারখানা। যদিও ২৪ ঘণ্টাই কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের বই সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, এবার বইয়ের মানে কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। ভালো মানের কাগজ আনতে দেরি করায় কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে।

একজন শ্রমিক বলেন, গত ১০ বছরে এরকম কাগজে বই ছাপা হয়নি। আগে ভালো মানের কথা বলে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপানো হতো।

এদিকে, এনসিটিবির কর্মকর্তারা প্রতিদিনই কারখানাগুলো তদারকি করছেন। বইয়ের মান ভালো না হওয়ায় মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে কয়েক লাখ বই ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

একজন কারখানা মালিক বলেন, আগে কম মানের কাগজ দিয়ে বই ছাপানোর ঘটনা থাকলেও এবার তা করার সুযোগ নেই।

এনসিটিবি জানায়, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডার নেয়ার সময় ১১ দিনে বই দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে কম মানের কাগজে বই ছাপানোর সুযোগ না থাকায় তাদের নতুন করে ভালো মানের কাগজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, সময় স্বল্পতার সুযোগ নিয়ে কারখানাগুলো নিম্নমানের বই চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। আগের দায়িত্বরতরা সেটি মেনে নিয়েছিল। তবে এবার সেই সুযোগ নেই।

২০২৪ ও ২০২৫ সালের তৃতীয় শ্রেণির দুটি বইয়ের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। ২০২৫ সালের বইগুলো ভারী ও উজ্বল। কাগজের মানে ছাড় দিলে সময়সীমা রক্ষা করা যেতো বলে দাবি এনসিটিবি’র।

প্রসঙ্গত, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান কে কোন জেলায় বই পাঠাবে তা টেন্ডারের সময় ঠিক করে দেয়া হয়। তাই আগে বই ছাপাতে পারা প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত জেলায় আগে বই যাচ্ছে।

আল-আমিন হক অহন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.