ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান ওরফে অনুর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে ঝালকাঠির শহরতলীর ইকোপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ নেতা আলী ইমাম দায় স্বীকার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এরপর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে ইকোপার্ক এলাকা থেকে পুলিশ তাঁর স্ত্রী সায়মা পারভীন ওরফে তানহার (১৯) লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সায়মার ব্যাগে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি পাওয়া যায়।
নিহত সায়মা পারভীন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আলী ইমাম ঝালকাঠি শহরের ফকির বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, তরুণীর পেটে তিনটি ও বুকে একটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আলী ইমাম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলী ইমাম আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে অভিযোগ তোলেন। এরপরে দুপুর ১২টার দিকে সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে পুলিশের কাছেও নিজের স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শহরতলী ইকোপার্ক এলাকায় গিয়ে নিহত সায়মা পারভীনের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ হেফাজতে আটক আলী ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি সায়মা পারভীনকে বিয়ে করেন। তবে তাঁরা আলাদাভাবে যাঁর যাঁর বাড়িতে বসবাস করতেন। সায়মা ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। নিষেধ করা সত্ত্বেও বিরত না হওয়ায় আজ সকালে মুঠোফোনে ইকোপার্কে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন।
নিহত তরুণীর বাবা শাহাদাৎ তালুকদার বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আলী ইমাম। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’