ফেসবুকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে মেটার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান স্যার নিক ক্লেগের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত অলিগার্ক ও রাজনীতিবিদরা তাদের ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এখন তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়াতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে।’
আধাঘণ্টার বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস মেটাকে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নিয়ে এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
ড. ইউনূসের আহ্বানে নিক ক্লেগ বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ এবং বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়ায় এখানে ফেসবুক তথ্য যাচাই ও ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রে মেটার তথ্য যাচাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেসবুকের ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সেবা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করার পদ্ধতি, উইকিপিডিয়ার মতো, চালু করার বিষয়টি তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।’
বৈঠকে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান নিক ক্লেগ মেটার সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দিয়ে জানান, এই বিষয়ে তাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি চালু হওয়া মেটার ওপেন সোর্সড বড় ভাষাগত মডেল এআই স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং এটি বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হবে।
বৈঠকে মেটার নীতি পরিকল্পনা পরিচালক প্রবীর মেহতা, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।