ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্সে রেকর্ড

0
9
ডলার

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। সদ্য সমাপ্ত মাসে দেশে বৈধপথে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

রোববার (২ মার্চ) এ বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে বৈধপথে আসা প্রবাসী আয় দেশীয় মুদ্রায় পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। এ হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কো‌টি ডলার বা এক হাজার ১১০ কো‌টি টাকা। এর আগের মাস জানুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ২১৯ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছ প্রায় ৩৪ কোটি ডলার।

এ ছাড়া, আগের বছরের ফেব্রুয়ারি তুলনায় তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৪৯ কোটি মার্কিন ডলার; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৯৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দা‌য়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়নের বেশি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাংলাদেশে এসেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

এর আগে, করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভও বেড়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.