বিএনপি নয়াপল্টনে বাড়াবাড়ি করছে কেন জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নয়াপল্টনের অফিসে নাকি অস্ত্র নেবে এবং রাত-দিন আগুন নিয়ে রাস্তায় নামবে। একটু আগে (বিকেলে) বিএনপির অফিসের সামনে, ১০ তারিখ আসতে না আসতে তারা (বিএনপি) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সন্ত্রাস, লুটপাটের বিরুদ্ধে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে।
বিএনপি আগুন–সন্ত্রাসের পক্ষে মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুলের মনে বড় জ্বালা। অন্তরে জ্বালা, বুকে বড় ব্যথা, মন বড় খারাপ। কেন জানেন? কারণ, পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে সিঙ্গাপুরের মতো, সাংহাইয়ের মতো বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকেও নেত্রী (শেখ হাসিনা) ২৯টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। কয়েক দিন পর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন হবে। কক্সবাজারেও দ্রুত আসছে মেট্রোরেল। সুতরাং বিএনপির আগুন–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কক্সবাজারবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশি লাফালাফি করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে।’ বিএনপির থেকে জনগণকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না। অর্থ পাচারে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত তারেক রহমানকে বিশ্বাস করবেন না।’
শেখ হাসিনাকে ‘পূর্ব পৃথিবীর সূর্য’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমরা এখনো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো আছি। যিনি ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়ান।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, সিরাজুল মোস্তফা, বিপ্লব বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।