ফিলিপাইনের ‘চীনা গুপ্তচর’ মেয়র ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার

0
47
একটি অনুষ্ঠানে কথা বলছেন, সাবেক মেয়র এলিস গুও। এলিস গুওর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া ছবি।

ফিলিপাইনের একজন সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ ওঠার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওই মেয়র। অবশেষে ইন্দোনেশিয়ায় ধরা পড়েছেন তিনি।

সাবেক ওই মেয়রের নাম এলিস গুও। তাঁর বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে তদন্ত শুরু হয়। তখন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ চারটি দেশে তাঁকে অনুসরণ করেছে।

কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটার পর একটা নৌকা বদলে ফিলিপাইন থেকে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান এলিস।

এলিসের বিরুদ্ধে অনলাইনে জুয়া খেলার ব্যবসায় মদদ দেওয়া এবং জুয়ার আড়ালে স্ক্যাম (প্রতারণা) সেন্টার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। মানব পাচারে জড়িত থাকা অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র আজ বুধবার বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব এলিসকে ফিলিপাইনে ফিরিয়ে আনা হবে।

এলিস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এলিস দাবি করেছেন, তিনি তাঁর চীনা বাবা ও ফিলিপিনো মায়ের সঙ্গে তাঁদের খামারবাড়িতে বেড়ে উঠেছেন।

তবে এলিসের ‘স্ক্যাম সেন্টার অপারেশন’ নিয়ে যাঁরা তদন্ত করছেন, তাঁরা বলেছেন, চীনা নাগরিক গুও হুয়া পিং–এর আঙুলের ছাপের সঙ্গে এলিসের আঙুলের ছাপ মিলে গেছে।

এলিস গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন এবং অপরাধী চক্রকে আড়াল করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

এলিসের মামলা নাটকীয় মোড় নেয় যখন তাঁর বোনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ফিলিপাইনের সিনেটের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যা দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের নজর কেড়েছিল।

দক্ষিণ চীন সাগরের দখল নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে যে বিরোধ, তা গুওর মামলাকে আরও জটিল করে তুলেছে।

যদিও চীন এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.