ফিফার অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, নয়ছয় হওয়া চার খাত

0
173
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন

কয়েক বছর ধরেই আর্থিক অসংগতি নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আর্থিক অনিয়মের কারণে ফিফার ফান্ড বন্ধ করে দেওয়ার খবরও মিডিয়ায় উঠেছে। কিন্তু প্রতিবারই তা অস্বীকার করে গেছেন বাফুফে কর্তারা। অবশেষে ফিফার নিষেধাজ্ঞায় সত্যতা মিলেছে বাফুফের আর্থিক অসংগতির বিষয়টি। ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার লেনদেন নিয়ে অভিযুক্ত হয়েছে বাফুফে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহাগ।

দরপত্রে অনিয়ম এবং ফিফার ফান্ডের অপব্যবহারের কারণে ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং ১০ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা করে ফিফা। তার নিষেধাজ্ঞায় ‘ইমেজ’ সংকটে থাকা বাংলাদেশের ফুটবল আরও ঘোর অন্ধকারে ধাবিত হয়েছে।

বাফুফের চারটি খাত– ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয়, ফুটবল কেনা, বিমানের টিকিট এবং ঘাস কাটা যন্ত্র কেনা বাবদ যথেষ্ট অনিয়ম পেয়েছে ফিফা। একই সঙ্গে দরপত্র আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নয়ছয় হওয়া চার খাত:

ক্রীড়াসামগ্রী ক্রয়

২০২০ সালের জুনে আবাসিক ক্যাম্প ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচের জন্য কিছু ক্রীড়া পরিধেয় সামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটি। যেখানে প্রতিষ্ঠানের সিল নেই। দুটি বিডের বক্তব্য শুরু হয়েছে একই কথা দিয়ে।

ফুটবল ক্রয়

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৩ হাজার ৯২১ ডলার (প্রায় ১৫ লাখ টাকা) দামে ৪০০টি ফুটবল কেনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেখানেও নয়ছয় ধরা পড়ে।

বিমানের টিকিট

২০১৯ সালের নভেম্বরে ফ্লাইট টিকিট বাবদ আল মারওয়া ইন্টারন্যাশনালকে ১৯ হাজার ৯২৫ ডলার (প্রায় সোয়া ২১ লাখ টাকা) দেয় বাফুফে। যেটার কার্যক্রমে অনেক কিছুই অপূর্ণ ও গরমিল ধরা পড়ে।

ঘাস কাটার যন্ত্র

২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৪১২ মার্কিন ডলারে (প্রায় দেড় লাখ টাকা) ঘাস কাটার যন্ত্র কেনে বাফুফে। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে সঠিকতা পায়নি ফিফা। কাজ পাওয়া বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠানের নামের বানানে ভুল ছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.