রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার নিহত হওয়ার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিবির (তেজগাঁও বিভাগ) উপকমিশনার মো. গোলাম সবুর আজ রোববার দুপুরের দিকে বলেন, মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনায় তাঁরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যে এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মনিরুজ্জামান (৪০) ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে (ট্রাফিক) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল শনিবার ভোর সোয়া চারটার দিকে ফার্মগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনি। ঘটনার সময় তিনি পুলিশের পোশাকে ছিলেন না।
পুলিশ জানায়, তিন দিনের ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবর্দী থেকে বাসে করে গতকাল শনিবার ভোরে ঢাকার ফার্মগেটে এসে নামেন মনিরুজ্জামান। সেখান থেকে তেজগাঁওয়ে ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে আসার পর ছিনতাইকারীরা তাঁর গতিরোধ করেন। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে তাঁর সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা।
গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরুজ্জামানকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহত ব্যক্তির ফুফাতো ভাই জাকিরুল আলম বলেন, ২০০২ সালে কনস্টেবল হিসেবে পুলিশে যোগ দেন মনিরুজ্জামান। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলের বয়স ৪ বছর, ছোট ছেলের বয়স ১ বছর। মনিরুজ্জামানের মা-বাবা বেঁচে আছেন।