আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ফারদিন হত্যা মামলায় ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফারদিনের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
ফারদিনের বাবার আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, ‘ফারদিন আত্মহত্যা করেননি। পুলিশ যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে বাদী নারাজি দেবেন। নারাজি আবেদন দেওয়ার জন্য আমরা সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত বছরের ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। সেদিনই তিনি নিখোঁজ হন।
পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ফারদিনের বাবা হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছেলের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করেন তিনি।
মামলায় গ্রেপ্তার করে বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের প্রায় তিন মাস পর গত ৮ জানুয়ারি বুশরা জামিনে মুক্তি পান।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার ছায়া তদন্ত করা র্যাবের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়ার অপরাধী চক্র এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।
তবে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি জানায়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। আর্থিক, পারিবারিক ও পড়াশোনা নিয়ে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জানায়, ফারদিন ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ’ করেছেন।