আগেই জানা গিয়েছিল, ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে লিওনেল মেসিকে দেখা যাবে না। আর্জেন্টিনার হয়ে ম্যাচে মাংসপেশিতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। সেই চোট থেকে সেরে ওঠার চেষ্টা করছেন। এই কারণে আজ ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে ইন্টার মায়ামির স্কোয়াডে দেখা যায়নি মেসিকে। তবে ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে দলের হারটা দেখেছেন।
মেসি ও জর্দি আলবাকে ছাড়া ফাইনালে হিউস্টন ডায়নামোর মুখোমুখি হয়ে ২-১ গোলে হেরেছে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল জেরার্দো মার্তিনোর দল। বিরতির পর যোগ করা সময়ের ২ মিনিটে মায়ামির হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি হোসেফ মার্তিনেজের। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেন কাপ জিতল হিউস্টন ডায়নামো। প্রথম জিতেছিল ২০১৮ সালে।
কালো রঙের শার্ট ও জিনস পরিহিত মেসি দেহরক্ষী নিয়ে ঢোকেন স্টেডিয়ামে। গেট দিয়ে ঢোকার সময় দর্শকদের প্রতি হাতও নেড়েছেন অভিবাদনের জবাবে। ম্যাচটি আবার রিয়াল মাদ্রিদের দুই সতীর্থের পুনর্মিলনী ছিল। মায়ামির সহমালিক ডেভিড বেকহামের সঙ্গে দেখা করেন জিদান। হাত মিলিয়ে ম্যাচটি দেখতে জিদানকে স্বাগত জানান ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার বেকহাম। রিয়ালে ‘গ্যালাকটিকোস’ যুগে দুজন সতীর্থ ছিলেন। গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও।
২৪ মিনিটে দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করেন হিউস্টনের গ্রিফিন ডোরসে। যুক্তরাষ্ট্র উইঙ্গারের গোলটি দেখে গ্যালারিতে বসে থাকা মেসি অবাক হওয়ার প্রতিক্রিয়া দেখান। এর ৯ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে হিউস্টনকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন আমিন ব্যাসি। বিরতির পর মায়ামির জালে আরও একবার বল পাঠিয়েছিল হিউস্টন, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়।
আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক সূচি শেষে মায়ামিতে ফিরে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন মেসি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আটলান্টার বিপক্ষে মায়ামির হারের ম্যাচে খেলেননি। ২০ সেপ্টেম্বর টরন্টো এফসির বিপক্ষে মায়ামির ৪-০ গোলে জয়ের ম্যাচে ৩৭ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। পায়ের মাংসপেশিতে চোট আছে তাঁর। চোট আছে আলবারও।