সবাই মিলে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে হবে: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

0
96
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। মঞ্চে ছিলেন টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রধান নির্বাহী তরুণ চক্রবর্তী। শনিবার তেজগাঁওয়ের টাইমস মিডিয়া ভবনে

গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে হুইলচেয়ারেই বসা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অসুস্থতায় স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে। কিন্তু সম্মাননা গ্রহণের পর যখন বক্তৃতা শুরু করলেন, তখন সেই চিরচেনা তেজোদীপ্ত ডা. জাফরুল্লাহ। বললেন, রাজনীতি নিয়ে। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলা, বিচারক– সবার কড়া সমালোচনা করলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংলাপ নাকচ করে দিলেও জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অবশ্যই দরকার।

মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বরাবরই সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুরও অনুগত। সে কথা খোলাখুলিই বলেন।

সম্মাননার মঞ্চে বললেন, ‘আমি তো আওয়ামী লীগ নই। কিন্তু শেখ মুজিবের অনুগত।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। 

সমাজসেবায় কীভাবে এলেন, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “হাই স্কুলে সবেমাত্র  উঠেছি। তখন মা বলতেন, ‘ছাওয়াল তুই আইছিলি ন্যাংটা। যাবিও ন্যাংটা। সেখানে তোকে জিজ্ঞেস করলে এদের (অসহায় মানুষ) জন্য করছস কী? মানুষের জন্য কী কর্তব্য করেছিস।’ আমি হতে চেয়েছিলাম ব্যাংকার। মা বলেছিলেন ডাক্তার হতে। মা সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন।”

সম্মাননাপ্রাপ্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বলেন অনুষ্ঠানে আগত বিশিষ্টজনরা। সবার প্রশংসায় সিক্ত হন তিনি। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এসব কি চাটুকারিতা! সবাই প্রশংসা করলেন! কেউ আমার ভুল ধরলেন না। ভুল ধরলে শোধরাতে পারতাম।’

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিএনপির সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। বিএনপিও বলছে, আগেরবার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। দুই দলকে এ অবস্থান থেকে ফিরে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আলোচনার দরকার নাই মানে কী। অবশ্যই আলোচনার দরকার আছে।’

আবারও জাতীয় সরকারের কথা বলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এখানে যাঁরা আছেন, সবাই মিলে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ডে রূপান্তরের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, তা ৫ বছরেই বাস্তবায়ন করে দেখানো সম্ভব। ছবি টাঙালেই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হয় না। তাঁর চিন্তার বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষক-শ্রমিকদের মাসিক ভাতা দিতে হবে। কর্মসংস্থান করতে হবে। বৃদ্ধদের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের দেখাশোনা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, আর কত দিন আল্লাহর নাম অপব্যবহার করে বাঁ‎চবেন। চলেন সবাই মিলে চেষ্টা করি, ভোটটা যেন সঠিকভাবে হয়। ড. কামাল, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে দেশের জন্য আরেকবার পথে নামতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.