ছোট পর্দার এই সময়ের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। ইতিমধ্যে শোবিজে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। নানা সময় ব্যক্তিজীবন ও কাজ নিয়ে আলোচোনায় এসেছেন তিনি। নতুন বছর ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। তবে কাজ দিয়ে নয়। মেকাপ ছাড়া তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ নিয়েই চলছে নানা মন্তব্য।
মাহির নো-মেকআপ লুক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তারপর থেকে তার গায়ের রঙ নিয়ে ট্রল করছেন নেটিজেনরা। যাকে বলা হয় বর্ণবৈষম্য। ভিডিওটি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোন একটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মেকাপ ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন মাহি। আর তখন তার এক সহকর্মী মজার ছলেই ভিডিও করে। পরে যা ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা গ্রুপে নানা ক্যাপশন দিয়ে সেই সব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে অনেকেই মাহির গায়ের রঙ নিয়ে ট্রল করছেন।
গায়ের রঙ নিয়ে কটূক্তি করায় কষ্ট পেয়েছেন মাহি। ফেসবুকে নাতিদীর্ঘ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সেই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি।
মাহি লিখেছেন, মাঝেমধ্যেই অভিনেত্রীদের স্কিন কালার নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। নিজের বাইরেও অনেকের পোস্টেই এমন মন্তব্য চোখে পড়ে। কিন্তু একজন অভিনেতার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা ঘটে না। এর কারণ আসলে অজানা। হয়ত আমরা অনেকেই মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণা নিয়েই চলছি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে কাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বরাবরই কাজকে গুরুত্ব দিয়েছি। এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানেও অনেক চেষ্টা, কষ্ট, পরিশ্রম রয়েছে। মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে রঙ নিয়ে মানুষের এমন ট্রল করা আমাকে ভাবায়। যদিও গুটি কয়েক মানুষই কেবল এমনটা করে থাকে। অথচ একজন মানুষকে, একজন অভিনেত্রীকে তার কাজ দিয়ে বিচার করা উচিত। অন্য কোনো কিছু দিয়ে নয়।
মাহি আরও লিখেছেন, কাজের সমালোচনা করুন, মাথা পেতে নেব। নিজেকে আরও শুধরানোর চেষ্টা করব। কিন্তু এভাবে গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলে নিজের পরিচয় দেবেন না। আমি আপনাদের জন্য কাজ করছি, করে যাব। আপনাদের ভালোবাসায় থাকতে চাই, বাঁচতে চাই।
এরআগে গেল বছর মাহি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। প্রেমিক হিসেবে ঘোষণা না দিলেও তাদের অন্তরঙ্গতা প্রেমের কথাই বলছিল। অবশেষে প্রেমের কথা স্বীকার করেন মাহি।
প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করে মাহি বলে ছিলেন ,কোভিডের আগে, ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিচয় হয়। কোভিডে যোগাযোগ বাড়ে, সেখানে থেকেই আমাদের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওর নাম সাদাত শাফি নাবিল। পারিবারিকভাবে ওদের গাড়ির ব্যবসা আছে।