মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনাই বটে। কারণ, ট্রাম্পের আগে দেশটির সাবেক কিংবা ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি। মুখ বন্ধ রাখার জন্য পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার মামলায় ট্রাম্পের সাজা হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত। আগামী ১০ জানুয়ারি তার সাজা হতে পারে। অপরদিকে, ঠিক ১০ দিন বাদে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইটহাউসে ওঠার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তবে সাজা পেলেও জেলে হয়ত যাওয়ার প্রয়োজন পরবে না তার।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন বিচারক হুয়ান বলেন, ১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে। ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেয়ার ইচ্ছা তার নেই। তাকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেয়া হবে। তার মনে হলো ট্রাম্পকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না।
ট্রাম্প অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেছেন, স্টর্মির সঙ্গে তার কোনো যৌন সম্পর্ক হয়নি।
তবে আদালত এমন রায় দিলেও আপিল করার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প। আপিলের বিষয়টি ট্রাম্প নিজেও স্পষ্ট করেছেন বলে জানান বিচারক।
ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, এ মামলায় ট্রাম্পের কোনো কারাদণ্ড হওয়া উচিত নয়। বেআইনি এ মামলা কখনো বিবেচনা করারই উপযুক্ত নয়। মামলাটি অবিলম্বে খারিজ করে দেয়া— এটির সাংবিধানিক দাবি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মির সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।