প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরাতে জোর তৎপরতা

0
12
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল, ফাইল ছবি: এএফপি
সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ক্ষমতা ছাড়তে তাঁর ওপর চাপ বাড়ছে। ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আজ শুক্রবার দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দলগুলো। প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আগামীকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।
 
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত মঙ্গলবার রাতে আচমকা দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করলে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্ষোভের মুখে তা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এর পর থেকে তাঁকে অভিশংসনের তৎপরতা শুরু করে বিরোধী জোট।
 
আজ দলগুলোর মধ্যে জরুরি বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) প্রধান হান ডং হুন বলেন, যদি ইউন সুককে ক্ষমতা থেকে না সরানো হয়, তাহলে দেশের জনগণ বড় বিপদে পড়বে। ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে গেলে সামরিক আইন জারি করার মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে। যদিও এক দিন আগেই পিপিপি জানিয়েছিল, তারা ইউনকে অভিশংসনের বিপক্ষে।
 
নিজের দলও বিপক্ষে যাওয়ায় এখন ইউনকে অভিশংসন করা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট ৩০০ আসনবিশিষ্ট। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীরা। ইউনকে অভিশংসনে দুই–তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ২০০ এমপির ভোট প্রয়োজন। অভিশংসন নিয়ে ভোটাভুটিতে বিরোধী জোটকে ক্ষমতাসীন দলের অন্তত আটজন এমপিকে নিজেদের পক্ষে টানতে হবে।
 
নেতাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন ইউন
 
সামরিক আইন জারি করার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শীর্ষ এসব নেতার মধ্যে ইউনের নিজের দল পিপিপির প্রধান হান ডং হুনও ছিলেন। গতকাল এ তথ্য জানিয়ে পিপিপির প্রধান হান ডং হুন বলেন, এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
 
পিপিপির প্রধান জানান, প্রেসিডেন্ট ইউন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটকের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁদের আটক করার নির্দেশ দেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.