ফখরুল ও আব্বাসের জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছেছে, মুক্তির অপেক্ষা

0
107
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস

আজ সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই নেতার জামিনের সংবাদ পেয়ে কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুপুর থেকে কারাগার প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হয়েছেন। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়টি কেন্দ্র করে কারাগার কর্তৃপক্ষ কারাগার এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

কারাগারে আসা বন্দীদের আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থীদের কারাগার এলাকায় প্রবেশকালে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিকেল থেকে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস কারাগারের ফটকে অপেক্ষা করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির আরও অনেক নেতা–কর্মী।

এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর তাঁরা মুক্তি পাবেন বলে জানান তাঁদের আইনজীবীরা।

ফখরুল ও আব্বাসকে ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় করা একটি মামলায় পরদিন গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তাঁদের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ হয়।

এ অবস্থায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাঁদের জামিন দেন। কিন্তু ফখরুল ও আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে গতকাল রোববার শুনানি হয়। এতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ।

সেই সঙ্গে মামলায় ফখরুল-আব্বাসের জামিননামা দাখিল না করতে চেম্বার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা তুলে নেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি ফখরুল-আব্বাসের জামিন প্রশ্নে রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.