প্রিমিয়ার লিগের ‘বিব্রতকর’ হারের তালিকায় টটেনহ্যাম

0
246
নিউক্যাসলের বিপক্ষে বড় হারের ম্যাচে হ্যারিকেনরা।

প্রিমিয়ার লিগে সেরা চারে শেষ করার লড়াই করছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার্স। লড়াইটা মূলত নিউক্যাসল ও টটেনহ্যামের। মর্যাদার ওই লড়াইয়ে রোববার রাতে টটেনহ্যামকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে নিউক্যাসল।

দলটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন জ্যাকব মার্পি ও অ্যালেক্সজান্ডার ইশাক এবং জোয়েলিংটন ও কালাম উইলসন একটি করে গোল করেছেন। সৌদি মালিকানায় যাওয়া নিউক্যাসল ২১ মিনিটে ৫-০ গোলের লিড নেয়।

স্পার্সদের ওই হারের পর সংবাদ মাধ্যম গোল ডটকম প্রিমিয়ার লিগের বিব্রতকর হারের একটি তালিকা করেছে। যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, চেলসির নাম আছে। এবার যুক্ত হলো টটেনহ্যাম।

ম্যানইউ ৮-২ আর্সেনাল: ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২০১১ সালে আর্সেনালকে ৮-২ গোলে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শীর্ষ পর্যায়ের দল আর্সেনালের ওই হারকে গোল প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বিব্রতকর হার বলে উল্লেখ করেছে।

লিভারপুল ৭-০ ম্যানইউ: এরিক টেন হ্যাগ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিয়ে ভালো ফুটবল দেখাচ্ছেন। তার দল কারাবাও কাপ জিতেছে, লিগ টেবিলে টপ ফোরে আছে, এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে। ইউরোপা লিগে হেরেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। ওই ম্যানইউ চলতি মৌসুমে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে ৭-০ গোলে হেরে ফিরেছে। বিব্রতের তালিকায় যেটা আছে দুইয়ে।

সাউদাম্পটন ০-৯ লেস্টার সিটি: ঘরের মাঠে সাউদাম্পটন নয় গোল খেয়েছিল। ২০১৯ সালে লেস্টার সিটির বিপক্ষে তাদের ওই হার সেরা তিনে রেখেছে গোল। ১২ মিনিটে সাউদাম্পটন ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় বিপর্যয় ঠেকাতে পারেনি।

ম্যানইউ ১-৬ ম্যানসিটি: ১৯৩০ সালের পর প্রথমবার ম্যানইউ ঘরের মাঠে ছয় গোল হজম করে। ২০১১ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন পরবর্তী সময়ে রর্বাতো মানচিনির ম্যানসিটি ওভাবেই ম্যানইউকে বিব্রত করেছিল।

ব্রেনফোর্ড ৪-০ ম্যানইউ: এরিক টেন হ্যাগ দায়িত্ব নিয়েই ব্রেনফোর্ডের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল। গোলের হিসেবে হয়তো হারটা খুব বড় নয়। কিন্তু নিচের দিকের দলের কাছে ওই হার হজম করা ম্যানইউ ভক্তদের জন্য সহজ নয়। বিব্রতের তালিকায় পাঁচে আছে ওই হার।

নিউক্যাসল ৬-১ টটেনহ্যাম: সেইন্ট জেমস পার্কে টটেনহ্যাম ছয় গোল খেয়েছে নিউক্যাসলের কাছে। প্রিমিয়ার লিগে বড় বিব্রতকর ঘটনা এটি। গত মৌসুমের শুরুতে যে নিউক্যাসল অবনমনের শঙ্কায় ছিল তাদের কাছে স্পার্সদের এই হারকে তালিকায় ছয়ে রাখা হয়েছে।

চেলসি ৬-০ আর্সেনাল: আর্সেনালের ডাগ আউটে এক হাজারতম ম্যাচ উদযাপন করার কথা ছিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের। অথচ তার দল স্টামফোর্ড ব্রিজে হেরেছিল ৬-০ গোলে। ২০১৪ সালে চেলসির দায়িত্বে ছিলেন হোসে মরিনহো।

ম্যানসিটি ৬-০ চেলসি: ম্যাচের ২৫ মিনিটে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলের লিড নিয়েছিল পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানসিটি। মাউরিসিও সারির দল হেরেছিল ৬-০ গোলে। ২০১৯ সালের ম্যাচটিকে তালিকায় আটে রেখেছে গোল।

স্টোক সিটি ৬-১ লিভারপুল: ২০১৫ সালে বিব্রতকর ওই হারের স্বাদ পেয়েছিল লিভারপুল। ওই হারের কথা অনেকে ভুলে গেলেও স্টিফেন জেরার্ড ভুলবেন না। কারণ লিভারপুলের জার্সিতে ওটি ছিল তার শেষ ম্যাচ। রেডস জার্সিতে নিজের ৭১০তম ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন জেরার্ড। অথচ দল হেরেছিল বাজেভাবে।

মিডলসবার্গ ৮-১ ম্যানসিটি: ২০০৮ মৌসুমের শেষ ম্যাচে মিডলসবার্গের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানসিটি। জিতলে ইউরোপা লিগের খেলার সুযোগ ছি। অথচ সিটিজেনরা বিধ্বস্ত হয়েছিল শীর্ষ লিগে ওই বছরই ফেরা মিডলসবার্গে। ম্যাচটিতে দশে রেখেছে গোল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.