দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের চেয়েও খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের একেকজনের সম্পদ ২০০ থেকে ৪০০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে, এটি কীভাবে সম্ভব!
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়নে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল। ‘আদিবাসী মানবাধিকার সুরক্ষা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন’– শিরোনামে সম্মেলনের আয়োজক কাপেং ফাউন্ডেশন।
সুলতানা কামাল দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভূমি দখল, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ‘মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে’– এ মন্তব্যের জবাবে বলেন, ‘তাদের নিজেদের সম্পদ কতখানি বেড়েছে আর কোনো মানবাধিকার কর্মীর সম্পদ কতটুকু বেড়েছে– এ নিয়ে এখান থেকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই।’
তিনি বলেন, সভ্য, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার বোধসম্পন্ন সমাজে মানবাধিকার কর্মীদের আতঙ্কে থাকতে হয় না, আতঙ্কে থাকার কথা লুটেরাদের। সরকার আদিবাসী জনগণের পরিচয়ের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। অধিকার আদায়ে আদিবাসী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করতে হবে বলে জানান সুলতানা কামাল।
কাপেং ফাউন্ডেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে এবং হিরন মিত্র চাকমা ও হ্লাম্রাচিং চৌধুরী রনির সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে। বক্তৃতা করেন আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ঢাকা অফিসের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, ইন্ডিয়া রিপিট্রিয়েটেড সিএইচটি জুম্মু রিফিউজি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সোন্তসিতো চাকমা বকুল, পল্লব চাকমা প্রমুখ। দিনব্যাপী সম্মেলনে পার্বত্য জেলা, উত্তরবঙ্গ, বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২০০ আদিবাসী মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মী অংশ নেন।