এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত কোনো পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে না। এ ছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো মূল্যায়ন বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
প্রধান শিক্ষকদের দেওয়া এক নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মঙ্গলবার এসব কথা জানিয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনিষ চাকমা এ নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেছেন।
প্রাথমিক স্তরে চলতি বছর প্রথম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের পাঠদান চলার ৪ মাস পর প্রথম শ্রেণিসহ অন্যান্য চার শ্রেণিতে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে তার নির্দেশিকা মঙ্গলবার প্রকাশ করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মাঠ পর্যায়ের স্কুল শিক্ষক-কর্মকর্তারা কীভাবে প্রতিপালন করবেন সেজন্য ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি ২০২৩-এ উল্লিখিত মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে; সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার রুটিন প্রণয়ন করবেন; সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখন ক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয়/ রোস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে; মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট থেকে কোনো ফি গ্রহণ করা যাবে না; বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে; প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত/স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন/পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না; পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর) অনুযায়ী ২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে; প্রথম শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাথমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের একটি নির্দেশিকা প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণির জন্য রচিত সব শিক্ষক সহায়িকার সঙ্গে সংযুক্ত করে জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।