ইয়েমেনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের।
শুক্রবার হামলা পরবর্তী এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, লোহিত সাগরে ইউরোপীয় জাহাজগুলোতে একের পর এক হামলার পর এই প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। প্রয়োজনে আরও হামলার নির্দেশ দিতেও সংকোচ বোধ করব না।
এর আগে বাইডেন বলেছেন, ‘আজ আমার নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এসব এলাকা হুতি বিদ্রোহীরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছিল।’
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্ররাজ্যের যৌথ বিমান হামলাকে হুতিদের ‘অভূতপূর্ব’ আক্রমণের ‘সরাসরি জবাব’ বলে অভিহিত করে বাইডেন বলেন, হুতিদের সাম্প্রতিক আক্রমণ মার্কিন সেনা, বেসামরিক নাবিক এবং আমাদের অংশীদারদের বিপন্ন করছে, বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা আমাদের সেনাদের ওপর আক্রমণ আর সহ্য করবে না এবং সমুদ্রে নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগও শত্রুদেরকে আর দেওয়া হবে না।
বাইডেন আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহকে রক্ষা করার জন্য আমি আরও ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করব না।’
উল্লেখ্য, দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হুতিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাল ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা। এই হামলায় হুতিদের অস্ত্র ভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।