এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম। ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৬ টাকা। আর প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম হবে ১০৮ টাকা।
নতুন এ সিদ্ধান্ত কাল সোমবার থেকে কার্যকর করা হবে। এত দিন রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পেতেন ১০৫ টাকা করে। আর প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা।
আজ রোববার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা এক ভার্চ্যুয়াল সভায় ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক ব্যাংকার জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে সব ক্ষেত্রে ডলারের এক দাম নির্ধারণ করতে হবে। এর অংশ হিসেবে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সামনে ডলারের দাম আরও বাড়ানো হবে।
এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘ডলারের দাম হবে বাজারভিত্তিক। এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা মে মাসের শুরু থেকে কার্যকর হবে।’