চলতি সপ্তাহেই তিন দিনের সফরে চীনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের অর্ধশতাব্দী পূর্তিতে তার এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার এ সফর ঘিরে আসতে পারে বড় কোনো ঘোষণাও।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। মন্ত্রণালয়ে এদিন তিনি প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে সামনে রেখে পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূসের চীন সফরে বড় ঘোষণা আসতে পারে। কেননা এ বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ সফর ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সারাবিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে। এ বিষয়ে আলোকপাত করলে ইয়াও ওয়েন বলেন, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সফর। আমরা চাই সফরটি যেন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের জন্য ভালো কিছু হয়।
এদিকে এ সফরকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে আরও গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনের দিকে নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আঞ্চলিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ভূরাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার, চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পানি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য বেইজিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া; বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে। আমরা চীনের কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ চাই এবং সেখানে আমাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ মার্চ চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের।