এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের চেয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৫-০ গোলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল
আজ ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন। আর একটি করে গোল আসে ঋতুপর্ণা চাকমা, কোহাতি কিসুক ও শামসুন্নাহার জুনিয়রের সৌজন্যে।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। প্রথম ১৫ মিনিট বাহরাইন মোটেও সুবিধা করতে পারেনি। এর মধ্যে নবম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত শটে বল বাহরাইনের জালে জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র। এক গোল খেয়ে বাহরাইনও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু গোল শোধ দূরে থাক, উল্টো আরও চার গোল হজম করে তারা।
১৫ মিনিটে স্বপ্না রানীর চমৎকার পাস থেকে ডি বক্সের ভেতর থেকেই প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান ঋতুপর্ণা। এর দুই মিনিট পর ঋতুপর্ণার ক্রসে পা ঠেকাতে পারলেই স্কোর ৩-০ হয়ে যেত। অবশ্য তৃতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে।
৪০ মিনিটে সরাসরি কর্নার না নিয়ে মারিয়াকে বল দেন মনিকা। সেখান থেকে একটু ড্রিবল করে বল প্রতিপক্ষ গোলমুখে পাঠান মারিয়া। আর গোলমুখে বল পেয়ে জটলার মধ্যে থেকেই জালে পাঠান কোহাতি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডান পায়ের শটে বাংলাদেশের গোলের হালি পূর্ণ করেন তহুরা। আর যোগ করা সময়ের ৪৮ মিনিটে শামসুন্নাহারের বাড়ানো বল থেকে আরও একবার বাহরাইনের জাল কাঁপান তহুরা।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড মোটেও সুখকর নয়। এর আগে এই প্রতিযোগিতায় ৫ ম্যাচ খেলেও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে ভিয়েতনামে তো তিন ম্যাচে হজম করতে হয়েছিল ১৫ গোল। এরপর ২০২২ সালে ভারতের মাটিতে পরের বাছাইপর্বেও দুই ম্যাচে বাংলাদেশ খেয়েছিল ১০ গোল।