এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজ গ্রুপ পর্বে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৭ গোল করেছেন ঋতুপর্ণারা।
যেভাবে একের পর এক গোল করে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা, মনে হচ্ছিল যেন শ্রাবণের তুমুল বৃষ্টি নামছে মাঠজুড়ে। ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে আজ যেন গোল-বৃষ্টির উৎসবই করে ফেললেন শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা, তহুরারা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের জালে বল জড়িয়েছে সাতবার।
দুটি করে গোল করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা। মাত্র ২১ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়িয়ে যায় ৬-০! ম্যাচের ৪০তম মিনিটে কর্নার থেকে ঋতুপর্ণার অসাধারণ শটে আসে সপ্তম গোলটি।
এই ম্যাচে যদিও বাংলাদেশের জন্য কোনো চাপ নেই। আগের ম্যাচেই স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা পাওয়া। তবু কোচ পিটার বাটলার কোনো আত্মতুষ্টিতে ভোগেননি। মাঠে নামিয়েছেন ঠিক আগের একাদশই।
এই পেশাদারির ফলেই হয়তো ম্যাচের শুরু থেকে তুর্কমেনিস্তান পড়ে যায় চরম বিপাকে। একপর্যায়ে গোলরক্ষকও ভেঙে পড়েন। বারবার জাল থেকে বল তুলতে তুলতেই একসময় হাত ফসকে হাস্যকর এক গোল হজম করেন, ঋতুপর্ণার শটে যা ছিল দলের পঞ্চম গোল।
চতুর্থ মিনিটেই শুরু হয় গোল উৎসব। স্বপ্না রানীর দূরপাল্লার শট থেকে আসে প্রথম গোল। ৬ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র পোস্টের খুব কাছ থেকে আলতো টোকায় করেন ২-০।
১৩ মিনিটে আবারও সেই শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৬ মিনিটে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে মনিকার চতুর্থ গোল। ১৮ মিনিটে ঋতুপর্ণা। ২১ মিনিটে তহুরা খাতুন। ৪০ মিনিটে মনিকার শট কর্নার থেকে বক্সের ওপর থেকে বাঁ পায়ের শটে ঋতুপর্ণার দ্বিতীয় গোল ও দলের সপ্তম গোল।
৬-০ হওয়ার পর প্রথমার্ধের বাকি সময়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে তুর্কমেনিস্তান। তাতে এই অর্ধের বাকি সময়ে আর গোল খেয়েছে তারা একটি। তবে দলটি এতই শিক্ষানবিশ যে, তাদের পাসিং, বল নিয়ন্ত্রণ প্রাথমিক স্কুলের মেয়েদের পর্যায়েই আছে।
আর বাংলাদেশের গোলগুলো যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে প্রতিপক্ষের জালে!