সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ জন্য তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের ডেকেছেন।
আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা। এ সময় সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আজ রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
দুপুর ১২টার দিকে কলাভবনের মূল ফটকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, “আপনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একটু কথা বলুন।” ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে বললেন, “আপনারা যে আন্দোলনটা করছেন, শিক্ষার্থীদের এভাবে…।”’
ওবায়দুল কাদের ডেকেছেন উল্লেখ করে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি তাঁর (ওবায়দুল কাদের) কাছে আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, “আপনারা আরও দু-তিনজন শিক্ষকসহ সন্ধ্যায় আসুন।” আমি বললাম, আমার ফেডারেশন আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তিনি বললেন, “ঠিক আছে।” তবে বেশি লোকজন না নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন, যাতে কথা বলতে সুবিধা হয়। এখন আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
ওবায়দুল কাদের তাঁদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে সময় দিয়েছেন বলেও জানান শিক্ষকনেতা নিজামুল হক ভূঁইয়া।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল মঙ্গলবার চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যাঁরা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তাঁরা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তাঁর জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাঁকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তাঁর গতকালের বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’