রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নগরীর কাটাখালী এলাকা থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। শান্ত রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাবির ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিজয় কুমার বসাক বলেন, গতকাল আটক প্রক্সিদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, কাটাখালী এলাকা থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদের কাছে সকল অপরাধীই অপরাধী। কারও রাজনৈতিক পরিচয় এখানে আসবে না।
এদিকে বুধবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা শান্তসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুল ইসলাম শান্ত প্রক্সিদাতাদের সঙ্গে ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার চুক্তি করেন। গতকাল আটক প্রক্সিদাতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করা হবে। এ ঘটনায় সে জড়িত থাকলে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং অন্যের হয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করা হয়৷ পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।