পিএসজি ২:১ আর্সেনাল (দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজি ৩:১ ব্যবধানে জয়ী)
লন্ডনে প্রথম লেগ ১-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালের পথে এক পা এগিয়েই ছিল পিএসজি। দরকার ছিল ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে শুধু হার এড়ানো।
আজ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও জয়ই তুলেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ফ্যাবিয়ান রুইস ও আশরাফ হাকিমির গোলে পিএসজি আর্সেনালকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে আর্সেনালকে বিদায় করে পিএসজি উঠে গেছে ফাইনালে। ৩১ মে মিউনিখের যে ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান।
হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়া আর্সেনালই ম্যাচ শুরু করেছিল দাপুটে ফুটবলে। চতুর্থ ও অষ্টম মিনিটে দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার প্রতিরোধে সাফল্য আসেনি। এরপর ম্যাচের সময় যত এগিয়েছে, পিএসজি ধীরে ধীরে আক্রমণ বাড়িয়েছে।

এর মধ্যে খিচা কাবারাস্কেইয়ার শট পোস্টে লেগে ফিরে না এলে ১৭তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। তবে গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষাও করতে হয়নি।
২৭তম মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেন রুইস। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার ফ্রি কিক থেকে বক্সে আসা বল বুক দিয়ে নামিয়ে বুলেট গতির শটে জালে জড়ান। আর্সেনাল গোলকিপার বল নাগালেই পাননি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এটিই রুইসের প্রথম গোল। যে গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে নামার পর আক্রমণের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করে আর্সেনাল। ৬৪তম মিনিটে গোলের প্রবল সম্ভাবনাও জাগান বুকায়ো সাকা। তবে তাঁর জোরাল শট এক হাত দিয়ে প্রতিহত করে দেন দোন্নারুম্মা।

দুই মিনিট বাদেই আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় পিএসজি। হাকিমির শট লুইস-স্কেলির হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকেরা। কিন্তু ভিতিনিয়ার দুর্বল শট আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া রুখে দিলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
অবশ্য খানিকপর ম্যাচের ৭২তম মিনিটেই ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় পিএসজি। বদলি নামা উসমান দেম্বেলের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে জোরাল শটে বল জালে পাঠান হাকিমি। দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজি এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে।
হারের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া আর্সেনালকে ৭৬ মিনিটেই কিছুটা আলোর রেখা এনে দেন সাকা। মারকিনিওসের সঙ্গে একপ্রকার শারিরীক লড়াইয়ে জিতে লিয়ান্দ্রো ত্রোসার বল বাড়ান সাকার দিকে। প্রথম চেষ্টায় না পারলেও দ্বিতীয়বারে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড।
৮০তম মিনিটে এই সাকা-ই আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। ফাঁকা গোলপোস্টের সামনে বল পেলেও দৌড়ের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় বল মেরে দেন বারের ওপর দিয়ে। ম্যাচ শেষেরে বাঁশি বাজে আর্সেনালের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার হতাশা নিয়েই।

২০০৬ সালের পর আর্সেনালের আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার অপেক্ষা বাড়ানোর রাতে পিএসজি আবারও ইউরোপসেরা হওয়ার মঞ্চে। ২০২০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে যাওয়া দলটি এবার মিউনিখের মাঠেই খেলবে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের বিপক্ষে।