আন্দোলনের নামে তৈরি পোশাকখাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি৷
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্প মালিকদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এদিন মজুরি বোর্ডের সভা হয়। সভা শেষে জানানো হয়, শ্রমিকদের দাবি আমলে নিয়েই বাড়ানো হবে সর্বনিম্ন মজুরি।
এদিকে সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। অন্যদিকে অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামের নামে পোশাক কারখানায় করা হচ্ছে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানায় সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণে সভা শেষে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি জানান, তাদের দেওয়া প্রস্তাবনা হলো- ১০ হাজার ৪০০ টাকা বেশি বেতন পাবেন শ্রমিকরা, যা কার্যকর হবে আগামী মাস থেকেই।
এদিন বিকেলে পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রেসিডেন্টসহ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি।
বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান বলেন, নভেম্বরের মধ্যে নিম্নতম মজুরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। জানুয়ারির বেতনের সঙ্গে শ্রমিকরা বাড়ানো মজুরি পাবেন বলে জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ক্রেতারা। তবে আশা করছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন জিএসপি স্কিমে এর প্রভাব পড়বে না।