প্রথম ইনিংসে একশো রানের বেশি লিড নিয়ে ঘরের মাঠে কখনো টেস্ট হারেনি ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একশো তো বটেই, ভারতের লিড ছিলো দেড়শো ছাড়ানো। এত শক্ত অবস্থায় থেকে শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদে জিততে পারেনি তারা। কারণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের দুঃখ ওলি পোপ। আর ব্যাটিংয়ে টম হার্টলি। তবে ব্যাট হাতে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন পোপই।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন পোপ। তার ব্যাটে ভর করে স্বাগতিকদের ২৩১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বেন স্টোকসের দল। তবে রান তাড়ায় ২০২ রানেই গুটিয়ে ভারত। ইংল্যান্ডের জয় হয় ২৮ রানে।
ভারতে আসার আগেই ইংলিশ সহ-অধিনায়ক ওলি পোপ বলেছিলেন, স্বাগতিকরা স্পিন সহায়ক উইকেট করলে তাতে আপত্তি নেই তার। পোপ যে প্রস্তুত হয়ে এসেছেন, সেটা বোঝা গিয়েছিল ঐ মন্তব্যেই। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে একাই করেছেন ১৯৬ রান। দলকে জয়ের ভিতও এনে দিয়েছিলেন তিনি। রাহুলের চোখ সেই ওলি পোপের দিকেই।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা—ভারতের এই তিন বিশ্ব মানের স্পিনারের বিপক্ষে নিয়মিতই রিভার্স সুইপ খেলেছেন পোপ। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের উইকেট যে ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহায়ক ছিল, সেটাও না। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় তা মোকাবেলা করেছেন পোপ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই দ্রাবিড় বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই এত ধারাবাহিকভাবে (রিভার্স সুইপ) এটি করতে দেখিনি। সুইপ এমন একটি শট, যেটি আমরা অতীতে খেলতে দেখেছি। কিন্তু এতটা সময় ধরে এতটা ধারাবাহিকভাবে রিভার্স সুইপ খেলা, তাকে টুপিখোলা ধন্যবাদ দিতেই হবে। আমি শুধু তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলতে চাই, অবিশ্বাস্য রকম ভালো খেলেছ। অন্য রকম ইনিংস।’
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বোলিং খুশি করতে পারেনি কোচকে। দ্রাবিড় বলেন, ‘আমাদের বোলিংয়ে আরও ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। বলের লাইন, লেংথ নিয়ে কাজ করতে হবে। সেই অনুশীলন আমরা করব। আমাদের দলে বিশ্বমানের স্পিনার আছে। এই প্রথম ওরা পরীক্ষার মুখে পড়েছে এমন নয়। ভাল ব্যাপার হচ্ছে, সেই সব পরীক্ষায় পাশ করেছে ওরা। এবারেও করবে। পোপ ভাল খেলেছে। আর আমাদের বিপক্ষে ভাল খেললে আমরা তাকে কৃতিত্ব দিতে জানি।’