পেছাল টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি, নিবন্ধন করবেন যেভাবে

0
12
টাইফয়েড টিকাদান

সারাদেশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের কারণে প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে। এখন আন্দোলন থেমেছে, তাই নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার সবাইকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু, কিশোর-কিশোরী বিনা মূল্যে এই টিকা পাবে। টিকাদান কর্মসূচি মোট ১৮ কর্মদিবস চলবে। প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ভিত্তিক ক্যাম্পে এবং পরবর্তী ৮ দিন টিকাদান কেন্দ্রে প্রদান করা হবে।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এই টিকা এক ডোজের ইনজেকশনে দেওয়া হবে, যা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। টিকাগুলো গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স সরবরাহ করেছে এবং ভারতের তৈরি। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী শতভাগ পরীক্ষিত।

নিবন্ধন যেভাবে

রেজিস্ট্রেশন করতে হলে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জন্ম তারিখ ও ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর (সব তথ্য ইংরেজিতে) দিতে হবে। এরপর লিঙ্গ নির্বাচন, ক্যাপচা পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে মা-বাবার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে) ও বর্তমান ঠিকানা দিয়ে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর মোবাইলে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।

টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন

রেজিস্ট্রেশনের সময় টাইফয়েড টিকা নির্বাচন করে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক’ বা ‘বহির্ভূত’ অপশন বেছে নিতে হবে। স্কুলভিত্তিক হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, শ্রেণি, থানা, ওয়ার্ড ও জোন পূরণ করে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। বহির্ভূত ক্ষেত্রে নিকটস্থ কেন্দ্র বেছে নিতে হবে।

ভ্যাকসিন কার্ড ও সার্টিফিকেট

রেজিস্ট্রেশন শেষে অনলাইনে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে এই কার্ড নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। টিকা নেওয়ার পর অনলাইনে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে, যা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, টাইফয়েড হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। উপসর্গগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে এবং অনেক সময় অন্যান্য জ্বরজনিত রোগের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে জটিলতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও নিরাপদ পানির অভাবে টাইফয়েড বেশি দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.