পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র চান না ডিসিরা

0
4
আবু সাঈদ গত ১৬ জুলাই আন্দোলনে পুলিশের সামনে এভাবে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন, ছবি: যমুনা টেলিভিশনের ভিডিও চিত্র থেকে নেওয়া
জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা চান ডিসিরা।
কনস্টেবল নিয়োগের কমিটিতে ডিসি কার্যালয়ের প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব।
 
পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান (এসএমজি), ৯ এমএম পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার প্রস্তাব এসেছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পক্ষ থেকে। কেউ কেউ শটগান ও ছররা গুলির ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছেন।
 
জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তাবগুলো জমা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হবে তিন দিনের ডিসি সম্মেলন।
 
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে উপলব্ধি হয়েছে যে পুলিশের হাতে শটগানও থাকা উচিত নয়। চিকিৎসকেরাও একই কথা বলেছেন।
 
মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, ডিসি, সিলেট
 
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে প্রথম ডিসি সম্মেলন। প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আগে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে নানা বিষয়ে প্রস্তাব চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবারও চাওয়া হয়েছে।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এবারের ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে তিন শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গেছে। প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। তার মধ্যে কিছু প্রস্তাব পুলিশ-সংশ্লিষ্ট। প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ ছাড়াও জেলা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।
 
সাতক্ষীরার ডিসি মোস্তাক আহমেদ প্রস্তাবে লিখেছেন, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি। উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ডিসি ও ইউএনওদের কোনো দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি ডিসি ও ইউএনওদের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ
প্রাণঘাতী অস্ত্র
আবু সাঈদ গত ১৬ জুলাই আন্দোলনে পুলিশের সামনে এভাবে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন, ছবি: যমুনা টেলিভিশনের ভিডিও চিত্র থেকে নেওয়া
 
পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারটি আলোচনায় এসেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে। সরকারের প্রাথমিক হিসাবে, এই অভ্যুত্থানে ৮২৬ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভ দমনে নির্বিচার প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যদিও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা, গরম পানি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং শটগানের ছররা গুলির মতো অস্ত্রের ব্যবহারের চেয়ে বেশি বলপ্রয়োগের কথা নয়।
 
‘১৭৫ মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ: নিহত ৭৮ শতাংশের শরীরে প্রাণঘাতী গুলির ক্ষত’ শিরোনামে গত ২ আগস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের বেশির ভাগের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল একটি। কারও কারও ক্ষেত্রে দুটি চিহ্নও দেখেছেন স্বজনেরা। মানে হলো, এসব গুলি প্রাণঘাতী ছিল।
 
ছররা গুলিতেও মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হয়েছেন পুলিশের ছররা গুলিতে।
 
প্রাণঘাতী অস্ত্র একেবারেই না রাখার প্রস্তাব অবিবেচনাপ্রসূত। প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে যদি পুলিশকে আক্রমণ করা হয়, তখন পুলিশ কী দিয়ে নিজেকে রক্ষা করবে?
 
মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি
 
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। নতুন সরকার নানা খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন করেছে, যার একটি পুলিশ সংস্কার কমিশন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ডিসিদের পক্ষ থেকে পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রস্তাব এল।
 
প্রাণঘাতী ও ছররা গুলি নিয়ে প্রস্তাব দেন সিলেটের ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন, জনবিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্র ও ছররা গুলি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে ছররা গুলিও মানবদেহে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
 
জানতে চাইলে শের মাহবুব মুরাদ ৪ জানুয়ারি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তাঁর উপলব্ধি হয়েছে যে পুলিশের হাতে শটগানও থাকা উচিত নয়। চিকিৎসকেরাও একই কথা বলেছেন। তাই তিনি প্রাণঘাতী ও ছররা গুলি নিষিদ্ধের কথা বলেছেন।
 
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন ডিসেম্বর মাসে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার ও বক্তব্যে বলেছেন, কমিশন প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার সীমিত করার সুপারিশ করবে। অন্যদিকে পুলিশও একই ধরনের সংস্কার আনার চিন্তা করছে। প্রশ্ন হলো, পুলিশের হাতে কি একেবারেই প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকবে না?
 
বিষয়টি নিয়ে মাঠপর্যায়ের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা একটি ভিন্ন যুক্তিও দিয়েছেন। ঢাকা জেলার একটি থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এখন অনেক ডাকাতের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকে। ডাকাত ধরতে গিয়ে পুলিশ কী অস্ত্র ব্যবহার করবে? তিনি বলেন, অনেক জেলা আছে স্পর্শকাতর। সেখানে অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীরা শটগানকে পাত্তা দেয় না। সেখানে পুলিশ কি অস্ত্র নিয়ে মাঠে যাবে?
 
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পুলিশের হাতে যদি প্রাণঘাতী অস্ত্র না থাকে, তাহলে এই বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।
 
দেশে পুলিশের অলিখিত ক্ষমতা বেড়ে গেছে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। তবে পুলিশ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা ডিসি ও ইউএনওদের হাতে ফিরিয়ে আনা কঠিন। ১৯৭৭ সালে এই বিধান স্থগিত হয়ে গেছে।
 
সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর এ কে এম আবদুল আউয়াল
 
পুলিশ সূত্র জানায়, এখন পুলিশ বাহিনীতে ৭ পয়েন্ট ৬২ এবং ৯ এমএম ক্যালিবারের অস্ত্রের ব্যবহার আছে। তবে ৯ এমএম পিস্তলের ব্যবহারই বেশি। এ ছাড়া পুলিশের কাছে ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান (এসএমজি) ও লাইট মেশিনগান (এলএমজি) রয়েছে।
 
গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞ একজন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে গত জুলাইয়ে কথা বলে জানতে পারে, ৯ এমএম পিস্তলের গুলির কার্যকর সীমা (ইফেক্টিভ রেঞ্জ) ৫০ মিটার। তবে অবস্থাভেদে কয়েক শ মিটার দূরত্বে আঘাত করলেও তা প্রাণঘাতী হতে পারে। আধা স্বয়ংক্রিয় (সেমি-অটোমেটিক) ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়নিজ রাইফেলের গুলি ৩০০ মিটারের মধ্যে কারও শরীরে লাগলে তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। আর কার্তুজের ধরনের ওপর নির্ভর করে শটগানের গুলি ৪০-৫০ মিটারের মধ্যে লাগলে প্রাণনাশের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
 
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা বলেন, পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র একেবারেই না রাখার প্রস্তাব অবিবেচনাপ্রসূত। প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে যদি পুলিশকে আক্রমণ করা হয়, তখন পুলিশ কী দিয়ে নিজেকে রক্ষা করবে? প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার সীমিত করা যেতে পারে উল্লেখ করেন তিনি।
 
এসিআর প্রসঙ্গ
 
পুলিশের এসিআর নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তত তিনজন ডিসি। তাঁরা পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩ এর ‘৭৫ /এ’ ধারা সামনে আনছেন। ওই ধারায় বলা হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে জেলায় কর্মরত পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে তাঁর সাধারণ মূল্যায়ন বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দেবেন। বিভাগীয় কমিশনার সেই প্রতিবেদনে নিজের মতামত যুক্ত করে তা পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে।
 
গাইবান্ধার ডিসি চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ তাঁর প্রস্তাবে বলেছেন, অনেক আগে থেকেই জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রধান দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে মূলত পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের সার্বিক আচার-আচরণ ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিফলিত হয়, এমন বাৎসরিক প্রতিবেদন বিধানসংবলিত পুলিশ প্রবিধানের ধারাটি কার্যকর নেই। এ কারণে প্রায়ই সরকার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
 
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সামরিক শাসনকালে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ডিসিদের প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি অকার্যকর হয়ে যায়। এটি চালু নিয়ে পুলিশের আপত্তি আছে।
 
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি। মাসে মাসে কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যান না জেলার এসপি। তাঁর বদলে পাঠানো হয় নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, জেলা প্রশাসন নির্বাহী বিভাগের অধীন, পুলিশও তেমন। একটি নির্বাহী বিভাগ কেন আরেকটি নির্বাহী বিভাগের কাছে জবাবদিহি করবে। এই জবাবদিহি হওয়া উচিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অথবা বিচার বিভাগের কাছে।
 
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, একটি নির্বাহী বিভাগ আরেকটি নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে তত্ত্বাবধান করা বাঞ্ছনীয় নয়। জেলা পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন ডিসিরা দেবেন, এটা ঔপনিবেশিক চিন্তা।
 
সম্মেলন উপলক্ষে ডিসিরা আরও নানা বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে সার্কিট হাউস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ডিসির বাসভবনকে কেপিআই (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন) ঘোষণা করা এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ কমিটিতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করা, জরুরি সেবা কাজ গতিশীল করতে ডিসির অধীনে বিশেষায়িত দল গঠন ইত্যাদি।
 
কোনো কোনো ডিসি জেলাভিত্তিক প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন বগুড়ার ডিসি হোসনা আফরোজা বগুড়ায় উড়োজাহাজের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর সুপারিশ করেছেন।
 
ডিসিরা মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। এ জন্য ডিসি সম্মেলন ও তাঁদের প্রস্তাবকে সরকার গুরুত্বসহকারে দেখে থাকে। ২০২৩ সালে ডিসি সম্মেলনে ২১২টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে ডিসিদের কাছ থেকে অনেক প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নের প্রস্তাব রয়েছে। তাঁদের সেসব প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
 
এদিকে প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসিদের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হয়ে থাকে। দুটোই এবার হচ্ছে না।
 
মানুষ যথোপযুক্ত সেবা থেকে ‘বঞ্চিত’
 
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্ব হলো মানুষের জন্য কাজ করা, মানুষের সেবা করা। কিন্তু দেশে এই দুটি বিভাগ নিজেদের মধ্যে বিরোধে লিপ্ত, যা মানুষকে যথোপযুক্ত সেবা থেকে বঞ্চিত করছে।
 
সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর এ কে এম আবদুল আউয়াল বলেন, দেশে পুলিশের অলিখিত ক্ষমতা বেড়ে গেছে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। তবে পুলিশ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা ডিসি ও ইউএনওদের হাতে ফিরিয়ে আনা কঠিন। ১৯৭৭ সালে এই বিধান স্থগিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে পুলিশের ক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। আবার ডিসিদের যে মর্যাদা ছিল, সেখানেও ধস নেমেছে।
আরিফুর রহমান
ঢাকা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.