ভারতের উত্তরপ্রদেশে কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে তার ছেলে ১৯ বছর বয়সী আসাদ আহমেদ নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পরে এই ঘটনা ঘটল।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার গ্যাংস্টার আতিক ও তার ভাইকে মেডিকেল চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই আতিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। গুলি তার মাথায় লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এর পরই আতিকের ভাই আশরফকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তারও। জোড়া হত্যাকাণ্ডের সেই ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।
এদিন আতিকের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমকে জানান গ্যাংস্টারের আইনজীবী বিজয় মিশ্র। তার দাবি, ভিড়ের মধ্যে থেকে আতিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি আইনজীবী মিশ্র।
চলতি মাসেই গুজরাটের অহমেদাবাদ থেকে আতিককে প্রয়াগরাজ জেলে নিয়ে আসা হয়। যোগী রাজ্যের পুলিশ তাকে এনকাউন্টারে মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি করে এই গ্যাংস্টার। শেষ পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতেই দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ গেল আতিকের।