চলমান জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে অংশগ্রহণ করছেন না ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের পুরোনো মুকুট ফিরে পেয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল। আর দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার তার শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত রেখেছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ছেলেদের বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে পঞ্চমবারের মতো দ্রুততম মানবের সোনার পদক জিতেছেন ইসমাইল।
এর আগে, ২০২২ সালের আসরে দ্রুততম মানবের মুকুট জিতেছিলেন ইসমাইল। কিন্তু লন্ডনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইমরানুর রহমান আসার পর আর আধিপত্য ধরে রাখতে পারেননি। এবার ইমরানুর অংশ না নেওয়ায় ইসমাইলের ভাগ্য খুলে গেছে।
১০ দশমিক ৬১ সেকেন্ড টাইমিং করে দ্রুততম মানব হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহনীর এই ক্রীড়াবিদ। তিনি পেছনে ফেলেছেন একই দলের রাকিবুল হাসানকে, ১০ দশমিক ৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন রাকিবুল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুবাইল ইসলাম ১০ দশমিক ৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এই তিনজনের বাইরে ১১ সেকেন্ডের নিচে দৌড় শেষ করেছেন কেবল আর একজন; সেনাবাহিনীর মোহাম্মদ তারেক। তিনি ১০ দশমিক ৯৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছেন।
এদিকে ১২.০১ সেকেন্ড টাইমিংয়ে দ্রুততম মানবী হওয়ার কৃত্তিত্ব অব্যাহত রেখেছেন শিরিন আক্তার। একই সংস্থার সুমাইয়া দেওয়ান ১২.১৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। বছর দুই আগে সুমাইয়ার কাছে শ্রেষ্টত্ব হারিয়েছিলেন শিরিন। জাতীয় ও গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ১৬ বার দ্রুততম মানবী শিরিন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই নিজেকে সফলতার মধ্যে রাখতে চান এই দ্রুততম মানবী, ট্র্রাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই পদক জিততে হয়। আমি সামনেও এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। এই সাফল্যে কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফীরও (সাবেক দ্রুততম মানব) ভূমিকা রয়েছে।