মাইলসের শাফিন আহমেদ আর নেই। এই শাফিন যতটা না মাইলসের তার চেয়ে অনেক অনেকটা বেশি হামিন আহমদের। আপন ছোট ভাই তাঁর। ছোট ভাইয়ের বিদায়ের পর নিজের সঙ্গে তোলা শৈশবের কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন হামিন আহমেদ। তারও আগে শাফিনকে হারিয়ে একের পর এক স্মৃতিচারণ করে পোস্ট করছিলেন হামিন।
বুধবার ফেসবুকে হামিন ফেসবুকে লিখেন, ‘আমি তোকে হৃদয়ের গহিনে রেখেছিলাম, আজ সেটা নিবিড়ভাবে অনুভব করছি। তুই হয়তো চিরতরে চলে গেছিস, কিন্তু তুই চলে আসলে যাসনি; সব সময়ই আমার জীবনের অংশ হয়ে থাকবি। আমাদের দেখা হওয়ার আগে যতক্ষণ সূর্য আলো দেবে, হাওয়া বইবে, বৃষ্টি ঝরবে ততক্ষণ তুই আমার ভেতরে বেঁচে থাকবি।’
হামিন আরও লিখেছেন, ‘সময়মতো মহড়ায়, রেকর্ডিংয়ে আসা—এ ব্যাপারগুলো শাফিনের মধ্যে দারুণ ছিল। যেকোনো সমস্যায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা, সমাধানে সামনে থেকে কাজ করা। ব্যান্ডে শাফিনের একাগ্রতা, নিষ্ঠা, সময় দেওয়ার ব্যাপারটা চোখে পড়ার মতো ছিল। বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক যাত্রায় গায়কির ক্ষেত্রে যে জায়গা, শাফিন সেখানে একটা অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি তো তখন দাবানলের মতো জ্বলে উঠল। কেন? গানের কম্পোজিশন বটেই, শাফিনের কণ্ঠও একটা ব্যাপার ছিল। ওর গলায় যেভাবে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘জাদু’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’—অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে, তা কারও পক্ষে সম্ভব ছিল না।
গান গাওয়ার ক্ষেত্রে ওর যে গায়কি, প্রক্ষেপণ ও গলার সুর—তা মানুষকে একদম পাগল করে দিয়েছিল। স্টুডিওতে রেকর্ডিং শেষে প্যানেলে যখন শাফিনের গান শুনতাম—বুঝতাম, ওর গায়কি কত সুন্দর। কত মাপা। গান গাওয়াটা শুধু তো সুর আর ছন্দ নয়—এর বাইরেও অনেক ব্যাপার আছে। এই ব্যাপার ওর মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রেই ছিল।