ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে রাশিয়া সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু পুতিনের এই আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারছেন না লুলা। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এখন তাঁর পক্ষে রাশিয়া সফর করা সম্ভব না।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেন প্রেসিডেন্ট লুলা। ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নিতে তাঁকে আমন্ত্রণ করায় পুতিনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আগামী ১৪ থেকে ১৭ জুন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে এই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
টুইটে লুলা লেখেন, ‘পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে আমন্ত্রণ জানানোয় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। সেই সঙ্গে বলেছি, আমি এই মুহূর্তে রাশিয়া যেতে পারব না।’
যদিও রাশিয়ায় কেন সফরে যেতে পারছেন না, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি লুলা। তাঁর দপ্তর থেকেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
রাশিয়ায় যেতে না পারলেও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে ব্রাজিলের আগ্রহের কথা পুতিনের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছেন লুলা। তিনি লেখেন, শান্তি ফেরানোর জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিতে ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও চীনকে সঙ্গে নিয়ে ব্রাজিল ভূমিকা রাখতে চায়।
এর আগে গত সোমবার জাপানের হিরোশিমায় ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর সম্মেলন চলাকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে লুলার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি বাতিল হয়। এতে বিরক্ত হয়ে লুলা বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে অনাগ্রহী মনে হয়েছে।’
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়। এরপর লুলা দা সিলভা কয়েকবার বলেছেন, এই যুদ্ধের জন্য শুধু রাশিয়াকে দায়ী করলে চলবে না। এর পেছনে ইউক্রেনেরও দায় রয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা দিয়েছে। এসবের কোনোটিই সমর্থন করেননি প্রেসিডেন্ট লুলা। তাই অনেকের অভিযোগ, ইউক্রেন যুদ্ধে লুলার ব্রাজিল রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল।