আবেদন যেভাবে
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এক বা একাধিক পদে আবেদন করা যাবে। একাধিক পদে আবেদন করলে প্রতিটি পদের জন্য আলাদা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের টেলিটকের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র অ্যাপ্লিকেন্টস কপি (বিপিএসসি ফরম-৫-এ) পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে।
ওয়েবসাইটে নন-ক্যাডার অপশনে ক্লিক করলে নন-ক্যাডার বিভিন্ন পদের বিজ্ঞপ্তি, আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ, এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমাদান ও প্রবেশপত্র প্রাপ্তিসংক্রান্ত নির্দেশাবলির রেডিও বাটন দৃশ্যমান হবে। ফরম পূরণের আগে অবশ্যই আবেদনপদ্ধতি, ফি জমাদান ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে।
আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ৬ষ্ঠ গ্রেডের পদের জন্য ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদের জন্য ৫০০ টাকা ও ১১তম গ্রেডের পদের জন্য ৩০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৭ মার্চ।
প্রার্থী বাছাই যেভাবে
১০ম ও ১১তম গ্রেডে কারিগরি বা পেশাগত পদে আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলায় ২০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ ও বিষয়ভিত্তিক ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ। ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় ৪০ নম্বর, ইংরেজিতে ৪০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ ও বিষয়ভিত্তিক ৮০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ৪ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার জন বা কম হলে শুধু ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সাধারণ পদের ক্ষেত্রেও আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলায় ২৫ নম্বর, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ জ্ঞানে ২৫ এবং গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় ৫০ নম্বর, ইংরেজিতে ৫০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ এবং গণিত ও মানসিক দক্ষতা থেকে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন আসে।
ষষ্ঠ গ্রেডের পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের শুধু ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাছাই বা লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হতে পারে।