বাংলাদেশে পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) ফোরটিফাইং অর্গানাইজেশনাল ক্যাপাসিটি টু আপহোল্ড বা ফোকাস কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
আজ পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক নূর মোহাম্মাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারের (এসআরএইচআর) কর্মসূচি এগিয়ে নিতে ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশন বা আইপিপিএফের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছে পিএসটিসি।
আজকের পিএসটিসির ফোকাস কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা। বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে মানসম্পন্ন এসআরএইচআর পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের চেষ্টা থাকার পরও সবাই চাহিদা অনুযায়ী সেবা নিতে পারছে না। কারণ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে অনেক কুসংস্কার আছে। আশা করি ফোকাসের কর্মসূচি এই বাধাগুলো দূর করতে ও চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা পেতে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইপিপিএফের আঞ্চলিক পরিচালক তোমোকো ফুকুদা, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস। সভাপতিত্ব করেন পিএসটিসির চেয়ারপারসন সানজিদা ইসলাম।
পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক নূর মোহাম্মদ অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং দ্বিতীয় পর্বের কর্ম অধিবেশন পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘এসআরএইচআর অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতের উপায়’ নিয়ে আলোচনা করেন আইপিপিএফের আঞ্চলিক পরিচালক তোমোকো ফুকুদা, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের জেন্ডার অ্যান্ড সিভিল সোসাইটির পলিসি অ্যাডভাইজার মাশফিকা সাটিয়ার, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও এক্সপ্রেশন লিমিটেডের পরিচালক ত্রপা মজুমদার এবং কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন টনি মাইকেল গোমেজ। তা ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব ও আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দীন খান।
পিএসটিসি একটি অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সংস্থাটি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করে আসছে।