বিএনপির কঠোর অবস্থানে কেউ অনড় কেউ দোটানায়

0
87

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে কঠোর অবস্থানেই রয়েছে বিএনপি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি রয়েছে দলটির। এ পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপি পদধারী নেতাদের কেউ কেউ এখনও অনড় অবস্থানেই রয়েছেন। আবার অনেকে পড়েছেন দোটানায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে সরকারের পক্ষ থেকেও বিএনপি নেতা ও ঘরানার ব্যক্তিদের উকিল আবদুস সাত্তার ‘মডেলের’ মতো প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ‘উৎসাহিত’ করা হচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এ অবস্থায় সিটিগুলোর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত প্রার্থিতা নিয়ে নাটকীয়তা চলার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
অবশ্য কৌশলে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে পদপদবি নেই, অথচ বিএনপি ঘরানার পরিচিত মুখ মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন গাজীপুর ও বরিশাল সিটিতে। গাজীপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। তিনি কারান্তরীণ বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিগত নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারেরও ভাতিজা। বরিশাল সিটিতে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামালের ছেলে।

সিলেটে মেয়র প্রার্থিতার বিষয় এখনও স্পষ্ট করেননি বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আগামী ২০ মে জনসভার মাধ্যেম নিজ অবস্থান ঘোষণা করবেন তিনি। অন্যদিকে রাজশাহী ও খুলনায় দলের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না বলে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিলেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন বিগত নির্বাচনে বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী ও দলের সাবেক খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

মেয়র প্রার্থী ছাড়াও এসব সিটিতে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা রয়েছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। দলের সমর্থনের বাইরে গিয়ে কতটুকু সফল হবেন, তার হিসাব কষছেন অনেকে। তবে এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতে রাজনৈতিক পদপদবির ঝুঁকি নিয়েই নির্বাচন করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে চলমান আন্দোলনকে বেগবান করাই এখন তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। এ পরিস্থিতিতে কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পাঁচ সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির ভেতর দুটি মত রয়েছে। দলের তৃণমূল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে। আবার নির্বাচন বর্জনের পক্ষে দলের কেন্দ্রের একাংশ। এ পরিস্থিতিতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বর্জন এবং দলীয় কেউ প্রার্থী হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ করে মেয়র পদ দলীয় প্রতীকে হওয়ায় পদধারী কোনো নেতা প্রার্থী হলে চলমান আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন দলের হাইকমান্ড।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ২৭ এপ্রিল। খুলনা ও বরিশালে ১৬ মে এবং রাজশাহী ও সিলেটের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৩ মে। গাজীপুরে আগামী ২৫ মে, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেটে ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গাজীপুর সিটি
কৌশলে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে গাজীপুর সিটি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। তিনি কারান্তরীণ বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা। নিজেকে বিএনপি পরিবারের সদস্য দাবি করে প্রচারণা শুরু করলেও দলের স্থানীয় কোনো শীর্ষ নেতা তাঁর সঙ্গে নেই। ধোঁয়াশার মধ্যে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে তাঁর দাবি, দলের ‘মৌন সমর্থন’ নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছেন।

এ বিষয়ে শাহনূর ইসলাম রনি বলেন, বিএনপিতে তাঁর কোনো পদপদবি না থাকলেও তিনি এ দলের লোক। মাঠ পর্যায়ের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার বলেন, রনি সরকার বিএনপির কেউ নন। দলের সদস্যপদও নেই। রনি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তিনি তো দলের কেউ নন, সদস্যও না।
গাজীপুরে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির যেসব পদধারী নেতা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে দাবি করেছেন মহানগর বিএনপির নেতারা। তবে দলের অনেকে বলছেন, প্রার্থী হওয়া নেতার মধ্যে মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী এবং সাবেক কাউন্সিলর থাকায় বহিষ্কারের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে ভাবতে হবে বিএনপি হাইকমান্ডকে।

সিলেট সিটি
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। দলের নেতাকর্মীও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না, আসলে তিনি নির্বাচন করবেন কিনা? স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করবেন– এটা অনেকটা নিশ্চিত হলেও গত দু-তিন দিন ধরে অনেকটা সুর পাল্টে গেছে অনেকের। শেষ পর্যন্ত আরিফ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। মেয়র পদে আরিফুল হকের বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পদধারীসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে মাঠে রয়েছেন।
মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ২০ মের আগে কিছু বলতে চাই না। তবে যেহেতু তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত, সেহেতু তাঁদের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের ফলে অবশ্যই দল থেকে বহিষ্কার হবেন। মেয়র আরিফুল হক নির্বাচন করবেন কিনা– তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিয়ে তিনি বলেন, আরিফ নিজেই এর ব্যাখ্যা দেবেন। কারণ দল নির্বাচনে যাচ্ছে না– সেটি তিনি ভালোভাবে জানেন।
সিসিকে মেয়র প্রার্থী নিয়ে এখনও ধূম্রজাল থাকলেও ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি ঘরানার কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। অনেকেই দলের কঠিন সিদ্ধান্তকেও তেমন আমলে নিচ্ছেন না। ৪২টি ওয়ার্ডে কমপক্ষে শতাধিক নেতা-নেত্রী প্রার্থী হওয়ার তালিকায় রয়েছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ থেকে ৫ জন পর্যন্ত প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বরিশাল সিটি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামালের ছেলে। শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন– দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অদৃশ্য নির্দেশে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। তবে বিএনপির কোনো স্তরের নেতাকর্মীর সঙ্গে রূপনের দৃশ্যমান যোগাযোগ নেই। এমনকি ‘রূপন বিএনপির কেউ নন’– এমন বক্তব্যই জোর দিয়ে বলে আসছেন স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির নেতাকর্মীরা সঙ্গে নেই, কীসের শক্তির ভিত্তিতে প্রার্থী হচ্ছেন– জানতে চাইলে রূপন বলেন, তাঁর সঙ্গে বিএনপি আছে কী নেই, সেটার বিস্ফোরণ ঘটবে ভোটের এক সপ্তাহ আগে। তিনি দাবি করেন, ভেতরে ভেতরে সবাই তাঁর সঙ্গে আছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরেশোরেই চলছে। আওয়ামী লীগবিরোধী সব ভোট তিনিই পাবেন। কালুশাহ সড়কের বাসা প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হবে।

রূপনের প্রার্থিতার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, কেউ কেউ বিএনপির লেবাস লাগিয়ে সুযোগ নিতে চাচ্ছেন। রূপন অপরিপক্ব ছেলে। বিএনপির যাঁরা তাঁর কাছে যান, তাঁরা অতীতে রিকশার টোকেন ও ঠিকাদারি কাজ পাওয়ার ঋণ শোধ করতে যান।
রূপন প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পরই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা তাঁর নির্বাচনী কাজে অংশ নিলে দল থেকে বহিষ্কার হবেন।
দলীয় ঘরানার মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও দোটানায় রয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটিতে বিএনপি সমর্থিতরা প্রার্থী হতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব বর্তমান কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে টানা চারবার নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি প্রার্থী হবেন না। অন্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাঁদের ব্যাপারে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, সিটি নির্বাচনে কারা কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন, এখন পর্যন্ত তাঁর জানা নেই। মনোনয়ন দাখিলের পর কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, তা কার্যকর হবে।

খুলনা সিটি
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তবে বিএনপি নির্বাচনে না গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন না তিনি।
জানা গেছে, গত ১ মে নজরুল ইসলাম মঞ্জু তাঁর অনুসারীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে নেতাকর্মীরা তাঁকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে মেয়র প্রার্থী না হতে মতামত দেন। এ সময়ে মঞ্জুও দলের বাইরে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়ে দেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, কেউ যদি দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র প্রার্থী হন, তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁর ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। একইভাবে কাউন্সিলর পদে দলের কোনো নেতাকর্মী প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, গত ২৯ এপ্রিল মহানগর বিএনপির সভায় সিটি নির্বাচনে কেউ প্রার্থী হলে কিংবা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোট দিতেও যাবে না।
এ সিটির মেয়র প্রার্থীর বাইরে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে নির্বাচন করা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। অবশ্য বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত চার-পাঁচজন বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলর স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের নেতাকর্মীরা জানান।

রাজশাহী সিটি
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে শুরু থেকেই দলের কেউ মেয়র প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তবে কাউন্সিলর পদে বিএনপির অনেক নেতা অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর আগের নির্বাচনে যাঁরা দলের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন এবং যাঁরা পরাজিত হয়েছেন, তাঁরা এবারও প্রার্থী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত বিএনপি কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। যেখানে মেয়র পদেই প্রার্থী দেবে না বিএনপি, সেখানে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির কোনো নেতা নির্বাচনে অংশ নিলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[এ রিপোর্ট তৈরিতে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনা ব্যুরো এবং গাজীপুর প্রতিনিধি]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.