লিগ কাপে মার্সেই এবং লিগ ওয়ানে মোনাকোর বিপক্ষে পরপর হেরেছে পিএসজি। তাতেই ‘দ্বন্দ্বের আগুনে’ পুড়ছিল দলটির ড্রেসিংরুম। দ্বন্দ্ব ও সমালোচনার কেন্দ্রে নেইমার। তাকে আর পিএসজি রাখবে না বলে গুঞ্জন বেরিয়েছে। নেইমার না থাকলে মেসিও চুক্তি নবায়ন করবেন না, এমন খবরও চাউর হয়েছে।
এর মধ্যে পিএসজির মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে এসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষেলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। পেট্রো ডলারের অর্থের ঝনঝনানিতে চলা পিএসজি শিবিরে ‘দ্বন্দ্বের আগুন’ জ্বলছিল, তাতে নতুন করে পেট্রোল ঢেলে দিলেন হুলিয়ান নাগেলসম্যানের শিষ্যরা।
ম্যাচের আগে ইনজুরিতে ছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুরুর একাদশে মেসি থাকলেও ছিলেন না এমবাপ্পে। তবে মেসি-নেইমারের জুটি জমছিল না। প্রথমার্ধে নির্বিষ ছিল ওই জুটি। মাঝমাঠে ছিল না ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। বায়ার্ন মিউনিখ বেশ কিছু আক্রমণ তুললেও প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্য সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে গোল করেন কিংসলি কোম্যান। প্যারিসের ছেলে তিনি। পিএসজিতে বেড়ে ওঠা। গোল করে তাই উদযাপন করেননি কোম্যান। তাতে এমবাপ্পের বেজার হওয়া থামেনি। দলের পারফরম্যান্সে হতাশ ফ্রান্সম্যান গোল হতেই চোখে মুখে হতাশা নিয়ে নামার জন্য ড্রেসআপ করে নেন। ৫৭ মিনিটে বদলি হয়ে নামেন তিনি।
ইনজুরি নিয়েও বায়ার্ন শিবিরে ভীতি সঞ্চার করতে থাকেন এমবাপ্পে। গতি, ড্রিবলিংয়ে পরাস্ত করে বেশ ক’বার গোলের সুযোগ তৈরি করেন। এর মধ্যে ৮৩ মিনিটে গোলও পেয়ে যান তিনি। কিন্তু বিল্ড আপে নুনো মেন্ডেস ইঞ্চি দূরত্বের জন্য অফ সাইড হওয়ায় বাতিল হয় ওই গোল। একটু বাদেই মেসিকে দারুণ এক বল দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ভালো শট নিলেও তা রক্ষণ দেয়ালে আটকে যায়। শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় প্যারিসিয়ানদের। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা না থাকায় দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের মাঠে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিতলেই সরাসরি শেষ আটে যাবে পিএসজি।