তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাল মূল খেলোয়াড়দের ছাড়াই মাঠে নেমে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। রমিজ রাজা ও কামরান আকমল মনে করেন, অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হারের মূল কারণ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বেশ বড়সড় পরীক্ষাই করেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্রাম দেওয়া হয় পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে।
মানে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। ফলটাও ভালো হয়নি, হেরে গেছে ৭৪ রানে। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার মতে, দল নিয়ে বাংলাদেশ একটু বেশিই পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে।
বাংলাদেশ দল পুরো সিরিজেই কমবেশি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছে। সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে তানজিদ হাসানকে খেলানো হয়নি। পেসারদের খেলানো হয়েছে ঘুরিয়েফিরিয়ে। এসব নিয়ে রমিজ প্রশ্ন তুলছেন না। তিনি পরিবর্তন চাইলেও ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখা খেলোয়াড়দের দলে রাখার পক্ষে। এই ক্রিকেট বিশ্লেষক মনে করেন, কাল পারভেজ ও মোস্তাফিজ খেললে ম্যাচ এমন হতো না।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, ‘দলে এত পরিবর্তন করতে চাইলে এর একটা নিয়ম আছে। দলে সাধারণত ২-৩ জন ম্যাচ উইনার থাকে, এদের সরানো যাবে না। বাকি জায়গাগুলোতে নতুন খেলোয়াড় খেলানো যেতে পারে। আমার মনে হয়, মোস্তাফিজ বা ইমন (পারভেজ) খেললে এই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। যদিও পাকিস্তান অনেক রান করেছে, এর পরও এ দুজন থাকলে অধিনায়কের কাছে সুযোগ থাকত।’

অনেক দিন ধরেই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন উইকেটে বাবর, রিজওয়ানদের প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রমিজ, ‘সব মিলিয়ে এটি পাকিস্তানের জন্য ভালো জয়। এখান থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এমন কঠিন উইকেটে আপনার শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমদের দরকার আছে কি না! এটা অনেক বড় প্রশ্ন।’
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কামরান আকমল মনে করেন, বাংলাদেশই পাকিস্তানকে জয়ের সুযোগ দিয়েছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পাকিস্তান জিততে পেরেছে। যদিও আমার মনে হয় বাংলাদেশ জেতার সুযোগ দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে যেভাবে ১১০ রানে অলআউট করেছে, ১৩৩ করে পাকিস্তানকে ১২৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে। মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হবে। তবে ওরা মনে করেছে আমাদের যা উদ্দেশ্য ছিল অর্জন করেছি। এখন যারা বাইরে আছে তাদের সুযোগ দিই। প্রথম দুই ম্যাচেও বাংলাদেশ রোটেশন পলিসিতে খেলেছে। সেটিও পাকিস্তানের সঙ্গে, যারা একসময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আয়ারল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে নয়।’