পাথরঘাটায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারও মানুষ

0
50
পাথরঘাটায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ১৫ গ্রাম।
পাথরঘাটায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ১৫ গ্রাম। পানিবন্দি রয়েছেন হাজারও মানুষ।
 
রোববার (২৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব।
 
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের চাপে বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ারের সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও পানি না কমায় চিন্তিত রয়েছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
 
স্বল্প উচ্চতার রিং বাঁধের কারণে এসব এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বসতবাড়ি ও চুলা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে রান্না করতে পারেনি এসব এলাকার বাসিন্দারা।
 
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার এলাকায় জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধের বাইরে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে এসব পরিবারের কারও চুলোয় হাড়ি ওঠেনি। আমাদের এই এলাকায় রিং বাঁধ বলতে কিছু নেই। বেশি উচ্চতার জোয়ারে খালের পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।’
 
এ দিকে অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে বরগুনার বাইনচটকি, বড়ইতলা ও পুরাকাটা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
 
সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিষখালি নদীর তীরবর্তী হরিণঘাটা, জিনতলা এলাকার শতাধিক ঘর বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা বেড়িবাঁধের ওপরে অবস্থান করছেন।
 
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন বলেন, ‘নদীতে পানির অতিরিক্ত চাপ থাকায় পানি কমতে সময় লাগছে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব বাঁধ ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য ৮০০ জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.