শিমুলিয়া-জাজিরা ঘাট থেকে ফেরি দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে

0
100
শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে আপাতত আর চলবে না ফেরি। তাই নৌপথ থেকে ফেরি দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটে

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর দুই ঘাট থেকে ফেরি দুটি সরানো হয়েছে। একটি ফেরি এ নৌপথ থেকে ইতিমধ্যে অন্য নৌপথে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার আরেকটি ফেরি এ নৌপথ থেকে সরানো হবে।

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদের আগে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন ওই নৌপথে ফেরি চালানো হয়েছিল। ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর আর ওই নৌপথে ফেরি চলাচল করেনি। কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে যাতে বিকল্প হিসেবে ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার হতে পারে তার জন্য দুটি ফেরি নৌপথটিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

শিমুলিয়া-জাজিরা ঘাটে যানবাহন নেই, অলস পড়ে আছে ফেরি

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ১৭ এপ্রিল শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে কে-টাইপ ফেরি কুঞ্জলতা ও কলমিলতা আনা হয়। কুঞ্জলতা ফেরি আরিচা-কাজীর হাট নৌপথে আর কলমিলতা ফেরি ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীর ঘাট নৌপথে চলাচল করত।

ফেরি চলাচল শুরুর পর সরকার কিছু শর্তে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়। ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এ কারণে ওই নৌপথে ১৯ এপ্রিলের পর আর ফেরি চলাচল করেনি। শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি কুঞ্জলতা ও সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটে ফেরি কলমিলতা প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ঈদে ছুটি না দিয়ে দুটি ফেরির ৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দুটি ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

ওই নৌপথে আপাতত আর ফেরি চলাচল করবে না—বিআইডব্লিউটিসি থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর শুক্রবার বিকেলে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতা আরিচা-কাজীর হাট নৌপথে ফেরত পাঠানো হয়। আর শনিবার সকালে কলমিলতা ফেরি জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরিটি আগামীকাল অন্য নৌপথে নেওয়া হবে।

ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল পারাপারে ফেরি চলাচল শুরু

গত বছর ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। সব ধরনের বৈধ যানবাহন চলাচলের জন্য ২৬ জুন পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পদ্মা সেতুতে যেদিন যানবাহন চলাচল শুরু হয়, ওই দিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণের মৃত্যু হয়। এরপর সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর মোটরসাইকেল আরোহীরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা নদী পারাপার হতেন। অনেকে ট্রাক ও পিকআপে মোটরসাইকেল তুলে পদ্মা সেতু পারাপার হতেন। তবে ২০ এপ্রিল থেকে সেতু দিয়েই মোটরসাইকেল চলাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলছিল না। তাই ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। এখন পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলছে। এখন আর ফেরি চলাচলের তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই আপাতত এ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়েছি। একটি ফেরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরেকটি ফেরি আগামীকাল সরিয়ে নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.