রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় চুল্লি বিস্ফোরণ: আরও তিন শ্রমিকের মৃত্যু

0
84
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় লোহা গলানোর সময় চুল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন শ্রমিক মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় চার শ্রমিকের মৃত্যু হলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ভুলতা এলাকার রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের কারখানায় চুল্লি বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হন। ঘটনার পর তাঁদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পর শঙ্কর (৪০) নামের এক শ্রমিক মারা যান।

ছাড়পত্র ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই চলছিল নারায়ণগঞ্জের কারখানাটি

ইনস্টিটিউট ও পুলিশ সূত্র জানায়, ইলিয়াস আলী (৩৫) নামের এক শ্রমিক গতকাল দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মো. নিয়ন (২০) নামের আরেক শ্রমিক মারা যান আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায়। এ ছাড়া আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান আলমগীর হোসেন (৩৩) নামের এক শ্রমিক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, ইলিয়াসের শরীরের ৯৮ শতাংশ, নিয়নের ৯৭ শতাংশ ও আলমগীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এখন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন তিন দগ্ধ শ্রমিক। তাঁরা হলেন—জুয়েল (২৫), রাব্বি (৩৫) ও ইব্রাহিম (৩৫)।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইয়ুব হোসেন জানান, রাব্বির শরীরের ৯৮ শতাংশ, জুয়েলের ৯৫ শতাংশ ও ইব্রাহিমের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়া ইলিয়াস ও আলমগীরের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। নিয়নের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ইলিয়াস, নিয়ন ও আলমগীরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

বিস্ফোরণের পর গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তিনি বলেন, কারখানাটি এখনো নির্মাণাধীন। পরীক্ষামূলকভাবে লোহা গলানোর কাজ করা হচ্ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে লোহা গলানোর চুল্লিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর গলিত উত্তপ্ত লোহা শ্রমিকদের শরীরে পড়ে।

রূপগঞ্জে স্টিল কারখানায় চুল্লি বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত, দগ্ধ আরও ৬

আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শহীদ আলম বলেন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দেখতে পাননি তাঁরা। শ্রমিকদের যে ধরনের নিরাপত্তার সরঞ্জাম ব্যবহার করার কথা, সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি বলে কারখানা সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.