যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।
রোববার (৬ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের চার সদস্য। সেখানেই এ আশ্বাস মিলেছে বলে জানা গেছে দুদক সূত্রে।
অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে এবার ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৈঠকে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন– ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) ডয়েন এডলি শিয়াবলা, হেড অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স টিমথি ডুকেট, ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজন অফিসার পিটার ভেরনন ও হানাহ রিডলি। এছাড়াও যুক্তরাজ্য থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেণ আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের ডেপুটি হেড মাইকেল পেটকভ। আলোচনায় দুদকের পক্ষ থেকে অংশ নেন মহাপরিচালক মোকাম্মেল হোসেন, পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ, গোলাম শাহরিয়ার ও মোর্শেদ আলম।
দুদক জানায়, বৈঠকে দুদক তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করে ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলকে। এ ছাড়া সংস্থাটির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার করা সম্পদ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। এ সময় ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল আশ্বাস দেয় যে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যদি কোনো অর্থ পাচার হয়ে থাকে তা ফেরত আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে।
গত ১ অক্টোবর দুদকের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা হয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছে।
বৈঠকগুলোতে গুরুত্ব পেয়েছিল– দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বিশেষ করে মানি লন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু।