পাকিস্তানে বাড়ছে গাধার সংখ্যা

0
175
রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় পিঠে বালু বহন করছে গাধা

পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং চলতি বছর এ সংখ্যা বেড়ে ৫৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভে (পিইএস) ২০২২-২৩ অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

নতুন জরিপে দেখা গেছে, পাকিস্তানে গত কয়েক বছরে ‘ভারবাহী’ পশু বলে পরিচিত গাধার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশটিতে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ। ২০২০-২১ অর্থবছরে সে সংখ্যা বেড়ে ৫৬ লাখ হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সে সংখ্যা বেড়ে ৫৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে গাধার সংখ্যা ১ লাখ বেড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে গরুর সংখ্যা বেড়ে ৫ কোটি ৫৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া মহিষের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৪ কোটি, ভেড়ার সংখ্যা ৩ কোটি ২৩ লাখ এবং ছাগলের সংখ্যা বেড়ে ৮ কোটি ৪৭ লাখে দাঁড়িয়েছে।

তবে গত চার বছরে উট, ঘোড়া ও খচ্চরের সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। পাকিস্তানে এখন উটের সংখ্যা ১১ লাখ, ঘোড়ার সংখ্যা ৪ লাখ এবং খচ্চরের সংখ্যা ২ লাখ।

পাকিস্তানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে পশুপালন একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অবলম্বন। দেশটিতে ৮০ লাখের বেশি মানুষ গবাদিপশু পালনকাজে জড়িত। তাদের আয়ের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ এ খাত থেকে আসে।

পাকিস্তানে পশুসম্পদ রপ্তানি খাত থেকে নিট যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়ে থাকে, তা মোট রপ্তানির প্রায় ২ দশমিক ১ শতাংশ।

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যনিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য পাকিস্তান সরকার পশুসম্পদ খাতকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.