পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সিরিজ শুরু টাইগারদের

0
12
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশে

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশে। এতে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।

পাকিস্তানের ১১০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৭ রানে পড়ে ২ উইকেট। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জার জোড়া আঘাতে শুরুতেই তানজিদ তামিম ও লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুজনই ফেরেন মাত্র ১ রান করে।

এরপর পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হন ওপেনার পারভেজ হোসেন ও চারে নামা তাওহিদ হৃদয়। তারা গড়েন ৭৩ রানের দারুণ জুটি। আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে হৃদয় করেন ৩৭ বলে ৩৬ রান।

পারভেজ হোসেন ইমন করেন ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার টানা দ্বিতীয় ফিফটি। জাকের আলি অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৫ রানে। ৭ উইকেট ও ২৭ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশ পায় বড় জয়। এটি অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের টানা তিন জয়।

এর আগে, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

দ্বিতীয় ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে কাটা পড়েন ৬ রান করা সাইম আইয়ুব। শেখ মেহেদি হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। অধিনায়ক সালমান আগাকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমানের পেসে কাটা পড়েন হাসান নাওয়াজ। রান আউট হন মোহাম্মদ নাওয়াজ। একপর্যায়ে দলীয় ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান।

সাময়িক ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালালেও ৩৪ বলে ৪৪ রান করে ফখর জামান সাজঘরের পথ দেখলে বিপদ আরও বাড়ে সফরকারীদের। শেষ ওভারটা ৭ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে শুরু করে পাকিস্তান। তাসকিনের করা ওভারের প্রথম তিন বলেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রানেই অলআউট হয় দলটি। ওভারের প্রথম বলে মেহেদীকে ক্যাচ দেন ফাহিম আশরাফ। পরের বলে রানআউটের শিকার অভিষিক্ত সালমান মির্জা। তৃতীয় বলে আব্বাস আফ্রিদি (২২ রান) ক্যাচ দেন লিটন দাসকে।

ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের এটিই দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১২৯/৭, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে (মিরপুরে)।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ‘ফিজ’ গড়েন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেয়ার বাংলাদেশি রেকর্ড। আজ ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি পেসার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.