
পাকিস্তানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি ভূমি এখন তাঁদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র তার প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে এবং বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে সুদৃঢ় করেছে।
রাজনাথ সিং ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ শনিবার ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেডের লক্ষ্মৌ ইউনিটে তৈরি সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচটির উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ ব্রহ্মসকে ‘ভারতের ক্রমবর্ধমান দেশীয় শক্তির প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, তাদের ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি এখন ক্ষেপণাস্ত্রটির নাগালে।
বিজেপির এই মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় যে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস বুস্টার ভবনটি আজ লক্ষ্মৌতে উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ জোর দিয়ে বলেন, ধনতেরাসের দিন (দিওয়ালির প্রথম দিন) চারটি ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় আত্মনির্ভরতার একটি মাইলফলক, যা একই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।
রাজনাথ লক্ষ্মৌ ইউনিটের গতি ও দক্ষতার প্রশংসা করেন। ২০০ একরজুড়ে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত মে মাসে এই ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এটি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ তৈরি করে সরবরাহ করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর জন্য বছরে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে। বছরে এটি ৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন এবং ৫০০ কোটি টাকার জিএসটি রাজস্ব আয় করবে। এই অর্জনের গতি ও দক্ষতা একটি রেকর্ড তৈরি করেছে।
ব্রহ্মসের সক্ষমতার ওপর জোর দিয়ে রাজনাথ বলেন, এর সুপারসনিক গতি, নির্ভুলতা ও দূরপাল্লার আঘাত হানার ক্ষমতা এটিকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থায় পরিণত করেছে।
রাজনাথ আরও যোগ করেন, লক্ষ্মৌ, কানপুর, আগ্রা, ঝাঁসি, আলিগড় ও চিত্রকূটকে নিয়ে গঠিত প্রতিরক্ষা উৎপাদন করিডরের ছয়টি কেন্দ্রই এখন পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করছে।