পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের

0
25
ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে রাওয়ালপিন্ডিতে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের খাতাটা ছিল পুরোই ফাঁকা। ১৩ টেস্টে মুখোমুখি হয়ে মাত্র একটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আর বাকি ১২টিতেই হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছিল টাইগারদের। তবে প্রথম টেস্টেই পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদের বিপক্ষে জয়ের খরা কাটিয়েছিল বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে টাইগারদের সামনে সুযোগ আসে পাকিস্তানের মতো বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের।
 
আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি সাকিব-মিরাজরা। দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। শুধু পাকিস্তানই নয় বড় দলগুলোর বিপক্ষে এটির প্রথম সিরিজ জয় বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে নবম সিরিজ জয় এটি। বাকি আটটি সিরিজ জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ছোট দলগুলোর বিপক্ষে।
 
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিল পাকিস্তান। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেননি স্বাগতিকরা। ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের সহজ লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেই টাইগাররা। দেশের বাইরে তৃতীয় সিরিজ জয় এটি।
 
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ৪২ রানে ১০ উইকেট হাতে রেখে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরুতেই ২ ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। ব্যক্তিগত ৩১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা জাকির হোসেন ফেরেন ৪০ রান করে। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম করেন ২৪ রান।
 
তবে মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল ইসলাম শান্ত। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটছে বাংলাদেশ। তবে ফিফটি তুলতে পারেনি দুজনের কেউই। ৮২ বলে ৩৮ রান করে শান্ত আউট হলে, ৭১ বলে ৩৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মুমিনুল।
 
এরপর সাকিবকে সঙ্গ নিয়ে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত সাকিবের ২১ রান এবং মুশফিকের অপরাজিত ২২ রানে ভর করে ৬ উইকেট এবং পুরো একটি সেশন হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
 
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনে জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ৪২ রান। দুই ওপেনার জাকির হাসান ২৩ বলে ৩১* রানে ও সাদমান ইসলাম ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। এখান থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.