সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় নতুন করে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে পাঁচ শর্তে পরীক্ষামূলকভাবে এ অনুমতি দেওয়া হয়।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে আগামী দুই বছর বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশকেরা উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবেন। বাংলাদেশি সিনেমা রপ্তানির বিপরীতে প্রথম বছরে ১০টি সিনেমা আনা যাবে। সিনেমা হলে প্রদর্শনের আগে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজায় কোনো সিনেমা আমদানি করা যাবে না।
ফেব্রুয়ারিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে উপমহাদেশের সিনেমা আমদানিসহ চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করে চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের মোর্চা সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ। উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানি না করলে সিনেমা হল বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
এর আগে জানুয়ারিতে মাসে সাফটা চুক্তির আওতায় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ আমদানি করতে আবেদন করে ঢাকার পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট।
বিষয়টি নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমদানি-রপ্তানি কমিটি বৈঠকে বসে; পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চেয়েছে কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামতের ভিত্তিতে আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর ২৫ (৩৬) (গ) উপ-অনুচ্ছেদের শর্ত মেনে আমদানির অনুমতি দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সাফটার চুক্তির আওতায় ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ থেকে সিনেমা আমদানি করা যাবে।