পশ্চিম তীরে শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ হামলা হয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিভিন্ন অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও অভিযান চালাচ্ছে তারা।
আজ বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, পশ্চিম তীরে ড্রোন হামলায় নিহত তিনজনই একটি সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সদস্য। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা পশ্চিম তীরে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা করলে তার জবাবে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থীশিবিরে অভিযান চালানোর সময় সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সেখানে বিস্ফোরণ ঘটান। এরপর সেনাবাহিনী তাঁদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়।
শরণার্থীশিবির সূত্রে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ড্রোন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। জেনিনের সরকারি হাসপাতালের পরিচালক উইসাম বাকিরের বরাতে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলায় তিনজন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে পশ্চিম তীরে তিনবার বিমান বা ড্রোন হামলা চালাল ইসরায়েল।
জেনিন শরণার্থীশিবিরকে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের শক্ত ঘাঁটি বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল। চলতি বছরের শুরুতেও ইসরায়েলি বাহিনী ওই শরণার্থীশিবিরে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছিল।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত ১০০ ছাড়াল
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বুধবার সকালে পশ্চিম তীরের কালকিলিয়া শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে হামজা সায়েল তালহা নামের ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোরে খালেদ সালাম ফুকাহা নামের এক ফিলিস্তিনি তরুণ মারা যান। কয়েক দিন আগে তুলকারাম শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।